যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৫ সালের বিষয়ভিত্তিক র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার পর কিউএস তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করে।

এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

আরো পড়ুন:

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে থাকবে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ

লাকী আক্তারকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দাবি

দুটি ক্যাটাগরিতে এ র‍্যাঙ্কিং বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম ক্যাটাগরি, ব্রড সাবজেক্ট এরিয়ায় পাঁচটি প্রধান বিষয় রয়েছে। সেগুলো হলো- ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, আর্টস অ্যান্ড হিউমেনিটিস, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন এবং ন্যাচার সায়েন্স। এই পাঁচটি ক্যাটাগরির মধ্যে তিনটি ক্যাটাগরিতে দেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক স্থান পেয়েছে।

বিশেষ সাবজেক্ট ক্যাটাগরিতে ৫৫টি ভিন্ন বিষয় রয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

এর মধ্যে, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৩২০তম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৪৫০ অবস্থানে রয়েছে। সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪০১-৪৫০ এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ৫০১-৫৫০ অবস্থানে রয়েছে।

আর্টস অ্যান্ড হিউমেনিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫০১-৫৫০ অবস্থানে রয়েছে। তবে লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন এবং ন্যাচার সায়েন্স ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

এ র‍্যাঙ্কিং তৈরি করতে কিউএস পাঁচটি বিষয়কে বিবেচনায় নেয়। একাডেমিক রেপুটেশন, এম্প্লয়ার রেপুটেশন, সাইটেশন পার পেপার, এইচ-ইনডেক্স সাইটেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্ক।

কিউএস র‍্যাঙ্কিং আন্তর্জাতিকভাবে একটি অত্যন্ত সম্মানিত এবং গ্রহণযোগ্য তালিকা হিসেবে পরিচিত। এটি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত টাইমস হায়ার এডুকেশন এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রকাশিত হত। পরে ২০১০ সাল থেকে এককভাবে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করছে কিউএস।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক উএস

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ