আইনকানুন মেনে সহৃদয়তা ও আন্তরিকতা দিয়ে প্রতিষ্ঠান গড়েছেন মঞ্জুর এলাহী
Published: 13th, March 2025 GMT
১৯৬০-এর দশক থেকে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বে কোনো দিন চিড় ধরেনি। আমরা একসঙ্গে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। তাঁর চলে যাওয়ার পর আমি দুর্বল হয়ে গেলাম।
আমরা সহপাঠী ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে একসঙ্গে আমরা স্নাতকোত্তর করেছি। ছাত্র হিসেবেও তিনি ভালো ছিলেন। প্রথম শ্রেণি না পেলেও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। মানুষ হিসেবেও ছিলেন অসাধারণ।
ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি একজন অনন্য মানুষ। কখনো আইনের ব্যত্যয় ঘটাননি। আইনকানুনের মধ্যে থেকে সহৃদয়তা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ফলে তিনি সহকর্মীদের সর্বোচ্চ সহায়তা ও সুফল পেয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের ছাত্র ছিলেন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। সেই কক্ষে যে দুজন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে ছিলেন, আজীবন তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল; এমনকি মঞ্জুর সব সময় তাঁদের বিপদ–আপদে পাশে দাঁড়াতেন।
তিনি রুপার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর বাবা ছিলেন প্রধান বিচারপতি। যেখানে আমরা ছিলাম মধ্যবিত্ত পরিবারের কিন্তু আমাদের বন্ধুত্বে কখনো ভেদাভেদ ছিল না। পারিবারিকভাবেও আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ ছিল না।
মঞ্জুর এলাহী শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা করেননি। জাতির কল্যাণ ও জনগণের উন্নয়নে তিনি সব সময় নজর দিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা কখনো মানের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ছাড় দিইনি।
সর্বশেষ দিন বিশেক আগে তাঁর সঙ্গে কথা হয় আমার। তখন শরীর অত্যন্ত দুর্বল ছিল, যদিও মনোবল ছিল অটুট। মৃত্যুর আগপর্যন্ত তিনি সেই মনোবল ধরে রেখেছিলেন।
মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।