পিআরপি চিকিৎসা নিয়েছেন মুস্তাফিজ, বিশ্রাম শেষে ফিরবেন ক্রিকেটে
Published: 13th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান পিআরপি (প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা) ইনজেকশন নিয়েছেন। যে চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হয়। ওই বিশ্রাম শেষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরবেন তিনি।
ঈদের পর প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলতে পারেন বাঁ-হাতি এই পেসার। শুরুতে ডিপিএলে পারিশ্রমিক জটিলতার কারণে দল পাননি তিনি। এছাড়া পুরো মৌসুমের জন্য ছাড়পত্র পাওয়া সাপেক্ষে তার আইপিএলে খেলতে যাওয়ার গুঞ্জন আছে।
পিআরপি চিকিৎসা হলো কোন ব্যক্তির নিজস্ব প্লাটিলেট দিয়ে তৈরি ইনজেকশন। একে প্লাটিলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা ইনজেকশন বলা হয়। লিগামেন্ট ও মাংসপেশি ইনজুরিজনিত সমস্যায় এটি প্রয়োগ করা হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত বা ব্যথাযুক্ত স্থানে প্লাটিলেট সরবরাহ বাড়ায়। ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে ক্রিকবাজকে বলেছে, ‘তাকে পিআরপি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে মাঠে ফেরার আগে কিছুদিন বিশ্রাম নিতে হবে। মুস্তাফিজ নতুন কোন ইনজুরিতে পড়েননি। পূর্বে তার কাঁধে যে অপারেশন হয়েছিল সেটা মাঝে মধ্যে অসুবিধার সৃষ্টি করে। ওটা ম্যানেজ করেই তিনি খেলছিলেন।’
পিআরপি ইনজেকশন নিলে সাধারণত ১০ দিনের মতো বিশ্রাম থাকতে হয় বলেও জানিয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ। তাকে ঈদের পরে দলে পাওয়ার আশা ব্যক্ত করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তিনি কবে ফিট হন আগে দেখা যাক। আমরা তাকে বাজেটের মধ্যে পেলে দলে নেব।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন ড প এল ইনজ কশন প আরপ
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ
অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।