আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সোমা ইসলামের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

এর বাইরে সাবেক সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা সাদেক খান, তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী খান এবং তাঁদের ছেলে ফাহিম সাদেক খানের নামে থাকা ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের পৃথক তিনটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো.

জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এসব আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) সাফিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী সোমা ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে তারা। আদালত শুনানি নিয়ে এই চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

সাদেক খানের পরিবারের ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের পাঁচটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে তাঁর স্ত্রীর ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের ছেলে ফাহিম সাদেকের দুটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, সাদেক খানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবগুলোয় ৪৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯০ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাদেক খান ও তাঁর স্ত্রী ফেরদৌসী খানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এ ছাড়া ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৮ জানুয়ারি সাদেক খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডন বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: মঈন খান

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে আবদুল মঈন খান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আজকের বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে- তার প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের জিওপলিটিক্যাল অবস্থান ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ হচ্ছে গণতন্ত্রের সূতিকাগার। ওরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাইবে না তো, কে চাইবে? এখানে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না।

নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনারা তো জানেন, আমাদের কথা এখন একটাই। বাংলাদেশের মানুষের যে ইচ্ছার প্রতিফলন, দেশের নতুন প্রজন্ম, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। দেশের কোটি কোটি মানুষ, ১২ কোটি ভোটার বলা হচ্ছে- তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ। ভোটের ব্যাপারে যখন নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, বলা হয় যে- নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো দেশের মানুষ উচ্ছ্বাস হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ