রাবিতে এক ছাদের নিচে ছাত্রদল-শিবির-বাম
Published: 13th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে এক ছাদের নিচে বসে ইফতার করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী ছাত্রশিবির, বামপন্থি ছাত্র সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনে নেতাকর্মীরা। মতাদর্শগত পার্থক্য থাকার পরও তারা ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতির অংশ হিসেবে এ ইফতারে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সিসিডিসি গ্যালারির রুমে প্রেসক্লাবের ইফতার আয়োজনে এ দৃশ্য দেখা যায়।
রাবি প্রেসক্লাবের নেতারা জানান, ভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে তারা প্রতি বছরই এ ধরনের আয়োজন করে থাকেন। ভবিষ্যতেও সম্প্রীতির এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে। এ ধরনের আয়োজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন তারা।
আরো পড়ুন:
শিবির নেতা নোমানী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ
রাবি নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ
এ সময় জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, “দৈনন্দিন জীবনে আমাদের হালাল-হারাম মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত। শুধু শূকরের মাংসই হারাম না। হারাম উপার্জনের টাকা দিয়ে হালাল ফল কিনলেও সেটা হারাম হয়ে যাবে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “একটা মিথ্যা সংবাদ অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে। তাই তারা যেন সবসময় সত্য লেখার চেষ্টা করে।”
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাবি প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “এ রমজান মাস আমাদের তাকওয়া, দ্বীনদারিতা ও পরহেজগারিতার শিক্ষা দেয়। কাঁটাযুক্ত পথের মধ্যে দিয়ে হেঁটে গেলে যেমন সাবধানতা অবলম্বন করা হয়, জীবনে সে রকম সাবধানতা অবলম্বন করার নামই তাকওয়া।”
তিনি বলেন, “রমজানে আমরা যে রকম পানাহ থেকে বিরত থাকি, সারাজীবন সেভাবে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলেই আমরা সফল। এছাড়া মুসলমান হিসেবে সবসময় অন্যকে দাওয়াত দিয়ে ইসলামের পথে আনার চেষ্টা করব।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান, ফোকলোর বিভাগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক এফ নজরুল, অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাবি শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র মিশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র গণমঞ্চ, ছাত্র ফেডারেশন, বাঁধন, উদীচি, ক্যারিয়ার ক্লাব, স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন, পিডিএফ, সাইন্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দ, সাবেক সমন্বয়কবৃন্দ, গণঅভ্যুত্থান মঞ্চ, সোচ্চার রাবি ইউনিট, রাবি সাংবাদিক সমিতি ও রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারে আক্রান্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শরীরে ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
আরো পড়ুন:
৬ বছর পর ব্রাজিলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ প্লে-অফে বলিভিয়া
মারাকানায় ব্রাজিলের বড় জয়
প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার একদিন পর তার ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ ধরা পড়ে।
বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তার ত্বকের পরীক্ষা করে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ শনাক্ত হয়েছে।এটি ত্বকের মাঝারি মাত্রার ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলেছেন যে, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭০ বছর বয়সী বলসোনারো গত মঙ্গলবার বমি এবং নিম্ন রক্তচাপের কারণে ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে ক্যানসারের বিষয়টি গত রবিবারের পরীক্ষায় ধরা পড়ে, যখন তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়েছিল।
তার অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, বলসোনারোর ক্যানসার ‘ইন সিটু’ ধাপে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষগুলো এখনো ছড়িয়ে পড়েনি। অস্ত্রোপচারই এর চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমানে বলসোনারোর শরীরে সেলাই ও ব্যান্ডেজ রয়েছে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে খোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বুধবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন, যেখানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশ অনুযায়ী, গৃহবন্দিত্বে থাকলেও চিকিৎসা জরুরি হলে তিনি বাসার বাইরে যেতে পারেন। তবে প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তাদের দাবি, কারাগারে নিলে তার শারীরিক জটিলতা বা দুর্ব্যবহারের ঝুঁকি বাড়বে।
তার জ্যেষ্ঠ পুত্র সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।”
ঢাকা/ফিরোজ