Risingbd:
2025-11-03@17:06:03 GMT

আমির খানের চমকপ্রদ সাত তথ্য

Published: 14th, March 2025 GMT

আমির খানের চমকপ্রদ সাত তথ্য

ধরাবাঁধা ছকে কখনো আবদ্ধ থাকেননি বলিউড অভিনেতা আমির খান। রোমান্টিক-অ্যাকশন— সব রূপেই রুপালি পর্দায় হাজির হয়ে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বিচিত্র চরিত্রে প্রমাণ করতে নিজেকে নানাভাবে ভেঙেছেন আমির।

১৯৬৫ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন বোম্বেতে (মুম্বাই) তাহির হোসেন-জিনাত হোসেন দম্পতির ঘর আলো করে জন্ম নেন আমির খান। শুক্রবার (১৪ মার্চ) ষাট পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দিতে যাচ্ছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট। চলুন জেনে নিই আমির খানের চমকপ্রদ সাত তথ্য—

বাবা-মায়ের অবাধ্য আচরণ
বলিউড অভিনেতা আমির খান অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ুক, তা চাননি তার বাবা-মা। বরং বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ এই অঙ্গনের অস্থিরতার ব্যাপারটি তারা খুব ভালোভাবেই জানতেন। আমির খানের বাবা তাহির হোসেনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ছিল। ব্যবসায়ীকভাবে লোকসানের মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় আমিরের পরিবারে। যার কারণে আমিরের বাবা-মা চাইতেন, ছেলে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হোক। তাদের আপত্তির পরও অভিনয়ে পা রাখেন আমির খান।

আরো পড়ুন:

গৌরির সঙ্গে প্রেম, স্বীকার করলেন আমির

২০ বছর ধরে অভিনেতা হিসেবে পারিশ্রমিক নিই না: আমির খান

খুদে তারকা
মাত্র ৭ বছর বয়সে ‘ইয়াদো কি বারাত’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন আমির খান। এটি পরিচালনা করেন তার চাচা নাসির হোসেন। কিশোর বয়সে ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি নীরব চলচ্চিত্র ‘প্যারানোয়া’-তে অভিনয় করেন আমির। সিনেমাটিতে অভিনয়ের পরই অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে বেশি আগ্রহী হন। তারপর থিয়েটারে যোগ দেন।

 আমির কেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট
আমির খানকে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ বলা হয়। কারণ প্রতিটি চরিত্র নির্ভুলভাবে রূপায়নের চেষ্টা করেন; যা তার সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গির বর্হিপ্রকাশ। চিত্রনাট্যের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণরূপে উৎসর্গ করেন। প্রতিটি বিবরণ নিখুঁতভাবে সম্পাদনা করেন। ‘দঙ্গল’ সিনেমার চরিত্রের জন্য আমির খান শারীরিকভাবে ব্যাপক রূপান্তর ঘটান। মাত্র পাঁচ মাসে ২৮ কেজি ওজন বৃদ্ধি করেন; শুটিংয়ের পর পাঁচ মাসে এই ওজন ঝরিয়ে ফেলেন তিনি। পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি ভারি দৃশ্যের জন্য ‘বডি স্যুট’ ব্যবহারের পরামর্শ দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেন আমির খান। ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ সিনেমায় চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে শুটিং সেটে ভদকা পান করেছিলেন তিনি।
 
টেনিস চ্যাম্পিয়ন আমির
খেলাধুলার প্রতি দারুণ আগ্রহ আমির খানের। বিশেষ করে টেনিসের প্রতি আগ্রহটা অতিমাত্রায়। কারণ আমির খান স্টেট লেভেলে টেনিস চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। খেলাধুলার প্রতি তার এই আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই; যা তার শিক্ষাজীবনকে ছাপিয়ে যায়। ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার টেনিস লিগের সময়ে সুইস টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন, যা খেলাধুলার প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে।

বিদেশে কোনো সম্পদ নেই
ভারতের জনপ্রিয় অনেক তারকা বিদেশে বাড়ি কিনেছেন। এ বাবদ শত শত কোটি রুপি ব্যয় করেছেন তারা। তবে নিজ দেশ ছাড়া বিদেশে বাড়ি বা কোনো সম্পদ নেই আমির খানের। বরং মুম্বাইয়ে তার তিনটি বাড়ি রয়েছে।   

গোসলে আগ্রহ নেই
পারকফেশনিস্ট হলেও এটাই সত্যি যে, আমির খান গোসল করতে চান না। করন জোহর সঞ্চালিত ‘কফি উইথ করন’ অনুষ্ঠানে আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও জানান, গোসল করতে পছন্দ করেন না আমির খান। বরং কয়েক দিন গোসল না করে কাটাতেই ভালোবাসেন। তবে তার খাবার খাওয়ার ব্যধি রয়েছে।

দিনে ১০০টি পান খেতেন আমির
আমির খানের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ একটি সিনেমা ‘পিকে’। সিনেমাটিতে নিজের চরিত্র সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে প্রচুর পরিমাণে পান খান আমির। প্রতিটি দৃশ্যের শুটিংয়ের আগে ১০-১৫টি পান খেতেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ১০০টি করে পান খেয়েছেন আমির; যার ফলে তার ঠোঁটে দাগ পড়ে গিয়েছিল।

তথ্যসূত্র: ফিল্মফেয়ার

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন র ন আম র খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ