পর্যটক শূন্য কুয়াকাটা, ডানা মেলেছে প্রকৃতি
Published: 14th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার কাউয়ার চর এবং মিরা বাড়ি পয়েন্ট বেড়েছে অতিথি পাখির বিচরণ। এসব পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকছে সৈকতের এ দুই স্পট। এছাড়া চর গঙ্গামতি সৈকতে রয়েছে ঝিনুকের ছড়াছড়ি।
এ সৈকতের যতদূর চোখ যায় ধুধু বালুচরের উপর বিশাল এলাকা জুড়ে সাদা ঝিনুকের খোলসের আস্তরণ। ছোট বড় হাজার হাজার ঝিনুক ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় এ অবস্থা বিরাজ করছে এ সৈকতে।
চর গঙ্গামতির পূর্বপাশে ক্র্যাব আইল্যান্ডে বেড়েছে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। লাল কাঁকড়ার নিপুণ আঁকিবুকি আর নাচানাচি যে কারও মন কাড়বে। এছাড়াও সৈকতের সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে ঔষধি গাছ আকন্দসহ বিভিন্ন গাছ গাছালি। এসব গাছে ফোটা ফুল শোভা ছড়াচ্ছে সৈকত এলাকায়।
এদিকে বর্ষা মৌসুম ঘনিয়ে আসায় সাগরের বিশালতায় বেড়েছে ছোট বড় ঢেউয়ের মোহনীয় গর্জন। মোটকথা রমজানের শুরু থেকে কুয়াকাটা সৈকত পর্যটক শূন্য থাকায় প্রকৃতি সেজেছে অপরুপ সাজে। মনজুড়ানো এসব সৌন্দর্য কেবল ঈদের পরে আসা পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন।
কুয়াকাটা সৈকতের মোটরসাইকেল চালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, “পর্যটক না থাকায় সৈকতে আমাদের বিচরণ খুব কম। তবে গতকাল খুলনা থেকে এক পর্যটক এসেছিল। তাকে নিয়ে পুরো সৈকত ঘুরেছি। দেখে মনে হয়েছে প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্ব রূপে। বেড়েছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া এবং ঝিনুকের সংখ্যা।”
গঙ্গামতি সৈকত এলাকার জেলে রহমান মিয়া বলেন, “এ সৈকতে প্রচুর পরিমাণে ঝিনুকের খোলস ভেসে এসেছে। যেটা দেখতে বেশ দারুণ সুন্দর লাগে।”
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোশিয়েসন অব কুয়াকাটার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রাজু বলেন, “রমজানের শুরু থেকে কুয়াকাটা সৈকতের পর্যটকের বিচরণ না থাকায় সৈকতের প্রকৃতির সেজেছে নতুন রূপে। লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখির বিচরণ বেড়ছে। এছাড়া সৈকত সংলগ্ন সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন গাছে নতুন নতুন ফুল ফুটেছে। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। কেবল ঈদের পরে কুয়াকাটা আসা পর্যটকরাই নৈসর্গিক এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।”
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের পুলিশ পরিদর্শক আহাদুজ্জামান বলেন, “ঈদের পরে কুয়াকাটায় লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে। সৈকতের নতুন প্রকৃতি এ সকল পর্যটকরাই উপভোগ করতে পারবেন। আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।”
ঢাকা/ইমরান/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব চরণ স ন দর স কত র
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩৫ কিলোমিটারজুটে যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার নিমশার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকেরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ যানজট দেখা দেয়।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে মহাসড়কে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার নূরীতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ফেনী থেকে রেকার এনে কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধারের কাজ শুরু করে পুলিশ।
সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট দেখা গেছে।
ঢাকাগামী রয়েল পরিবহনের চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করে বুড়িচংয়ের নিমশার বাজারে যানজটে এক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। ৫ মিনিট গাড়ি চললে ২০ মিনিট বসে থাকতে হয়। এভাবে ১০টা ৪০ মিনিটে চান্দিনায় পৌঁছেছি। এ সময়ে ঢাকার কাছাকাছি থাকার কথা ছিল।
নিমশার বাজারে আটকে থাকা প্রাইভেট কারের যাত্রী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে যানজট অথচ সড়কে হাইওয়ে পুলিশ দেখছি না।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, মহাসড়কের নূরীতলা এলাকায় উল্টে কাভার্ড ভ্যানটি আড়াআড়িভাবে পড়ে ছিল। পরে ঢাকামুখী লেনের বেশ কিছু গাড়ি উল্টো পথে ঢোকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফেনী থেকে ক্রেন এনে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণেই যানজট দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ড ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।