জামালপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি
Published: 15th, March 2025 GMT
জামালপুর সদর উপজেলায় এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে ১৩ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল শুক্রবার রাতে তাকে জামালপুর শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. লাল মিয়া (৫০)। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার একটি এলাকায়। থাকতেন শ্বশুরবাড়িতে। পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ওই ব্যক্তি ঘটনার পর থেকে পলাতক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশুটি গতকাল সকালে বাড়ির পাশে খেলছিল। কৌশলে শিশুটিকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যান লাল মিয়া। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ। শিশুটির ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যান। তখন লাল মিয়া শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যান। প্রথম দিকে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। পরে শিশুটি রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জামালপুর শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিশুটির মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাচ্চা প্রতিবন্ধী। আমার বাচ্চা গাড়ির টায়ার দিইয়া খেলতেছে, ওনথনে (সেখান থেকে) বাচ্চারে নিয়ে ধর্ষণ করছে। নিয়ে যাওয়ার সময় মানুষজনও দেখছে। আমার বাচ্চারে ওই ঘর থাইকা মানুষজনই বাইর করছে। সমাজের মানুষরে বিচার দিছিলাম, সমাজের মানুষেরা বলছিল, বিচার কইরা দেবে। কিন্তু দেয় না। রাইতে বাচ্চার পেটে ব্যথা ওঠে, তহন চিৎকার পারতেছিল। তার কারণে হাসপাতালে আইছি। আপনারা এডার বিচার কইরে দেন। আমি বিচার চাই।’
ওই হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (প্রসূতি) খায়রুল বাসার প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার পর আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। আলামতের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে