রংপুরে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল হয়েছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে রংপুর প্রেস ক্লাবের সামনে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রংপুর’ ব্যানারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা নারীদের প্রতি সহিংসতা ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা আছিয়াসহ সব ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। 

সমাবেশে বক্তব্য দেন- রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সাব্বির আহমেদ, আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ, শাহরিয়া সিদ্দিকা, ফারহানা ইসলাম। 

আরো পড়ুন:

কাল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ডাক

ঈদ বোনাসের দাবি 
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের, যান চলাচল বন্ধ 

বক্তরা বলেন, দেশে ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। যা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রশাসন ও সমাজের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ার কারণে দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। তাই সরকারকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

মশাল মিছিলটি রংপুর প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষকদের কঠোর শাস্তি এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি জানান।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ