পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেড গত ২০২৪ অর্থবছরের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪০০ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দেবে।

গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ২০২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ–সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর লিন্ডে বিডির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪ হাজার ১০০ শতাংশ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করে, যে লভ্যাংশ ইতিমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত লভ্যাংশ নিয়ে কোম্পানিটি মোট ৪ হাজার ৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ দিচ্ছে।

ডিএসইতে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটি এক্সট্রা অর্ডিনারি আয়সহ শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ৪২১ টাকা ৯৪ পয়সা। এ সময়ে মূল ব্যবসা থেকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৪ টাকা ৯২ পয়সা, যা আগের বছর ১৫ টাকা ২ পয়সা ছিল।

২০২৪ সালে শেয়ারপ্রতি আয় বা মুনাফা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই সময় কোম্পানিটি শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা করেছে। বিশেষ আয় ব্যতীত সাধারণ আয় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত বছর এই সময় কোম্পানির শেয়ার বিক্রি বেড়ে যাওয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়া।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২২৯ টাকা ৩৪ পয়সা, আগামী ২৯ মে বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ এপ্রিল।

গত এক বছরে লিন্ডে বিডির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৮৭১ টাকা ২০ পয়সা। এর আগে ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১ হাজার ৫৪০ শতাংশ, ২০২২ সালে ৪২০ শতাংশ, ২০২১ সালে ৫৫০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি 

সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা  সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার। 

সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।

এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টানা তিন মাস কমল দেশের পণ্য রপ্তানি
  • লরা উলভার্ট: হিমালয়ের চূড়ায় এক নিঃসঙ্গ শেরপা
  • বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের মৃত্যু
  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • বেসরকারি ঋণ তলানিতে, তবে ঋণপত্র খোলায় গতি
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টানা দুই মাস আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে
  • তিন মাসে গৃহকর আদায় কমেছে ৩০ কোটি টাকা
  • জুলাই–সেপ্টেম্বরে ঋণছাড়ে এগিয়ে বিশ্বব্যাংক ও রাশিয়া, কোনো অর্থ দেয়নি চীন
  • সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি