আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা দত্তকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে একদল লোক। ডা. প্রাণ গোপাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ওই হাসপাতালের (তৎকালীন বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ছিলেন।

ডা. অনিন্দিতা দত্ত বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বিভাগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ভবনের এফ ব্লকে অবস্থিত। রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ভবনের তাঁর কার্যালয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে একদল লোক। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অবস্থান করছে। দুপুর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তিনি ওই কক্ষে অবরুদ্ধ ছিলেন। জানা গেছে, ডা.

অনিন্দিতা দত্তের নামে জুলাইয়ে গণহত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

শাহবাগ থানা ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমদ বলেন, মামলার বাদীর তথ্যের ভিত্তিতে তাঁকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এখন সেবাবাহিনী ও পুলিশ এসেছে। তারা বিষয়টি দেখবেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, ‘প্রাণ গোপাল স্যারের মেয়ে এখানে চাকরি করেন। তাঁকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। আমরাও উনার সঙ্গে বন্দি হয়ে আছি এখানে। ঘটনাস্থলে আর্মিও এসেছে। আমরাও ঝামেলায় আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রাণ গোপাল দত্তের বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় কয়েকটি মামলা হয়েছে। সেসব মামলায় অনিন্দিতা দত্তও আসামি। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে অনিন্দিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন না। দুদিন ধরে তিনি আসা শুরু করেছেন।

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। সেখানে পুলিশ ও আর্মি আছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ ব এসএমএমইউ শ হব গ অন ন দ ত অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইলে স্কুল ঢুকে প্রধান শিক্ষককে ‌‘জুতাপেটা’
  • অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
  • ঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা
  • ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
  • উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলা, আহত ৫ শিক্ষার্থী
  • ডাকাত দেখে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি পান করিয়ে সুস্থ করার পর টাকা-স্বর্ণালংকার লুট
  • বঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী