চট্টগ্রামের অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করত ছোট সাজ্জাদ : পুলিশ
Published: 16th, March 2025 GMT
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর আজ রবিবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার ও তার অপরাধ জগত সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ।
পুলিশ কমিশনার জানান, ছোট সাজ্জাদের নেতৃত্বে একটি ডাবল মার্ডারসহ তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি বড় সাজ্জাদের (ভারতে অবস্থানরত) সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে বিপুল অংকের চাঁদা দাবি করে, কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বাড়িতে এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছুড়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন। এ ধরণের অনেকগুলো ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিছু দিন আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে হত্যার হুমকি দেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র সংক্রান্ত মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকায় ছোট সাজ্জাদকে ধরতে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ও চান্দগাঁও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানকালে তিনি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান। এ সময় তার গুলিতে পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হন। গত ৩০ জানুয়ারি ওই শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা করেন সিএমপি কমিশনার।
আরো পড়ুন:
আরপিএমপির উপ-কমিশনার শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার
ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন
সর্বশেষ গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে ঢাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমেপ্লেক্স এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাকে রিমান্ডে এনে তার অন্যান্য সহযোগী ও তার অস্ত্রের ভান্ডারের সন্ধান করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫