বন্দরনগরী চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর আজ রবিবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার ও তার অপরাধ জগত সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। 

পুলিশ কমিশনার জানান, ছোট সাজ্জাদের নেতৃত্বে একটি ডাবল মার্ডারসহ তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি বড় সাজ্জাদের (ভারতে অবস্থানরত) সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে বিপুল অংকের চাঁদা দাবি করে, কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের বাড়িতে এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে গুলি ছুড়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন। এ ধরণের অনেকগুলো ভিডিও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিছু দিন আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে হত্যার হুমকি দেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্র সংক্রান্ত মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন মোড় এলাকায় ছোট সাজ্জাদকে ধরতে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ও চান্দগাঁও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানকালে তিনি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান। এ সময় তার গুলিতে পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হন। গত ৩০ জানুয়ারি ওই শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা করেন সিএমপি কমিশনার।

আরো পড়ুন:

আরপিএমপির উপ-কমিশনার শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার

ঘুমন্ত বিএনপি কর্মীর ঘরে বাইরে থেকে তালা দিয়ে আগুন

সর্বশেষ গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে ঢাকা বসুন্ধরা সিটি শপিং কমেপ্লেক্স এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাকে রিমান্ডে এনে তার অন্যান্য সহযোগী ও তার অস্ত্রের ভান্ডারের সন্ধান করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। 
 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য়

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ