বাউফলে পিটুনিতে ডাকাত নিহতের ঘটনায় ২ মামলা
Published: 16th, March 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে তরমুজ বোঝাই ট্রলারে ডাকাতি এবং গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহতের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। এই মামলাগুলোতে ৪৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে বাউফল থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম ডাকাত নিহতের ঘটনায় বাদী হয়ে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করেন। এই মামলায় ৩০-৪০ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: তরমুজের ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা, গণপিটুনিতে মৃত্যু
আরো পড়ুন:
তরমুজের ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা, গণপিটুনিতে মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে চাঁদা না পাওয়ায় শ্রমিকদের মারধর করলেন যুবদল নেতা
তরমুজের ট্রলারে ডাকাতদের হামলা ও কুপিয়ে-পিটিয়ে জখমের ঘটনায় মো.
এসআই মো. সাইফুল ইসলামের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৫ মার্চ) ভোর সোয়া ৪টার দিকে ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে একটি তরমুজ বোঝাই ট্রলারে ডাকাতি সংঘটিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গণপিটুনিতে আহত এক ডাকাতসহ তিনজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক ডাকাত মারা যান। পরবর্তীতে সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলিয়ে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে। নিহতের নাম কবির (৩৫)। তার বাবার নাম মফিজল বেপারী। ঠিকানা ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড।
মামলার এজাহারে বাদী শহিদুল মাতুব্বর উল্লেখ করেন, তারা গলাচিপা উপজেলার চর কপালবেড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজল থেকে ১০ হাজার পিস তরমুজ কিনে চাঁদপুরে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। পথে বাউফলের ধুলিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় ৭-৮ জনের একদল ডাকাত ট্রলারে হামলা চালিয়ে তরমুজ লুটের চেষ্টা করে।
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, নিহত ডাকাত কবিরের পরিচয় শনাক্তের পর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কবিরের স্ত্রী তার লাশ গ্রহণের সম্মতি জানিয়েছেন, এবং লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ন হত গণপ ট ন ত র ঘটন য় তরম জ ব উফল
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সুদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সুদের টাকা লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- পারভেজ শেখ (২০), মানিক শেখ (৪১), সাদ্দাম শেখ (৩৫), শাকিল খান (২৫), ফয়সাল শেখ (২০), আবু সাঈদ শেখ (৪০), সজীব শেখ (১৯), রনি শেখ (৪০), সোহেল সুলতান (২৫), আফ্রিদি শেখ (১৯), মোস্তফা শেখ (৪০), নুরুন্নবী (১৮), আমানুল্লাহসহ (২৫) আরও অনেকে।
গুরুতর আহতদের গোপালগঞ্জ ও কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কোটালীপাড়া থানার আহত এসআই সেলিম মাহমুদ কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ওই এসআইসহ কোটালীপাড়া থানার আরও ৩ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে কোটালীপাড়া থানার এসআই মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন।
মাঝবাড়ি গ্রামের কালাম দাড়িয়া ও বংকুরা গ্রামের হাসেম মুন্সি জানিয়েছেন, কোটালীপাড়া উপজেলার বংকুরা গ্রামের রিয়াজুলের কাছ থেকে মাঝবাড়ি গ্রামের ফারুক দাড়িয়া সুদে টাকা নেন । সেই টাকা সময়মত ফারুক সুদে আসলে পরিশোধ করতে গড়িমসি শুরু করেন। এতে পাওনাদার রিয়াজুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সুদের টাকা লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে আজ শুক্রবার সকালে বাকবিতণ্ডা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মসজিদের মাইক থেকে গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ আহ্বানের পর দুই গ্রামের লোকজন ঢাল-সড়কিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দফায়-দফায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কোটালীপাড়া পাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও উভয়পক্ষের ৪৫ জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে ওসি আরও বলেন, এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোন পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়ামাত্র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত রিয়াজুল ও ফারুক দাড়িয়ার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। এ কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।