ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায়ে অভিনেত্রী, শরীরে এসেছে যেসব পরিবর্তন
Published: 17th, March 2025 GMT
স্তন ক্যান্সারের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন অভিনেত্রী হিনা খান। এই পর্যায়ে থাকলে কেমোথেরাপির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। হিনারও চলছে একের পর এক কেমোথেরাপি। এর ফলে নানান শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে তার শরীরে।
চুল উঠে যাওয়া তার মধ্যে অন্যতম। যে কারণে অভিনেত্রী নিজের চুল কেটে ফেলেছেন। তবে শুধু চুল নয়, এবার পরিবর্তন দেখা গেল অভিনেত্রীর নখেও। হিনা তার ইনস্টাগ্রামে নখের বদলে যাওয়া রং-এর ছবি শেয়ার করেছেন। এটাকে কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
হিনা যে নখের ছবি শেয়ার করেছেন সেখানে তার নখ শুষ্ক, বিবর্ণ দেখাচ্ছে। অনেকেই অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করছেন, তিনি কেন নেলপলিশ পরছেন না। হিনা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
অভিনেত্রী বলেছেন, ‘অনেকেই আমার নখের কথা জিজ্ঞাসা করেছেন, আমার আবাসনের কিছু প্রতিবেশীও রয়েছেন এই তালিকায়। আমি কেন নেলপলিশ ব্যবহার করি না? আমি কীভাবে নেলপলিশ পরে নামাজ পড়ব? এমন নানা প্রশ্ন। একটু মাথা ব্যবহার করুন।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘কেমোথেরাপির সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি হল নখের বিবর্ণতা.
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরও হিনা কিন্তু তার কাজ থামিয়ে রাখেননি। ক্যামেরার সামনে সাজগোজ করেই তিনি কাজ করে চলেছেন। পাশাপাশি রমজান মাসে রোজাও রাখছেন।
দুর্বল শরীর নিয়েও তিনি পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখতে ভোলেননি। সম্প্রতি পবিত্র রমজান মাসে ওমরাহ পালনের জন্য মক্কায় দেখা মিলেছে তার। যেখানে হিনা খানকে দেখা গেছে, সবুজ বোরখা ও সানগ্লাসে।
একটি ছবিতে অভিনেত্রীকে একটি ঘরের কোণে মেঝেতে বসে থাকতে দেখা যায়। সেখানে নামাজ পড়তেও দেখা গেছে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুদের টাকার জন্য গাছে বেঁধে নির্যাতন
শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকার জন্য নুর আমিন (৩৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের ভাটিলংগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নুর আমিন ভাটিলংগরপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে। নির্যাতনের খবর পেয়ে শ্রীবরদী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু, তার আগেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের জলিল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক ১০ শতাংশ হারে সুদে এক লাখ টাকা নেন নুর আমিন। সুদের টাকা কয়েকমাস নিয়মিত দিয়েছিলেন তিনি। পরে সুদের টাকা অনিয়মিত হওয়ায় তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও কয়েক দফা সালিশ বৈঠকও হয়। একপর্যায়ে টাকা না পেয়ে রাস্তা থেকে নুর আমিনের একটি মোটরসাইকেল আটকে রাখেন জলিল। গত এক বছর ধরে মোটরসাইকেলটি জলিলের বাড়িতেই আছে। সম্প্রতি সুদের টাকার জন্য নুর আমিনকে আবার চাপ দেন জলিল। এর জেরে রবিবার তাকে বাজার থেকে তুলে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে নুর আলম বলেন, ‘‘সুদের টাকার জন্য আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জলিল নিয়ে গেছে। সে সময় বলেছিল, তার আর কোনো দাবি নাই। কিন্তু, এখন আবার টাকা দাবি করছে।’’
আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, ‘‘নুর আলমের কাছে অনেকদিন ধরে টাকা পাই। তাই তাকে বাজার থেকে ধরে এনেছি। তবে, কোনো মারধর করিনি; স্বাভাবিক অবস্থায় বাড়িতে রেখে দিয়েছিলাম। যখন আটকাতে পারছিলাম না, তখন বেঁধে রেখেছিলাম। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।’’
খড়িয়া কাজেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল কবীর রূপা বলেন, ‘‘খবর পেয়ে আব্দুল জলিলের বাড়িতে গিয়ে দেখি, নুর আমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে দুপক্ষকে সম্মত করি। আর বেঁধে রাখার ঘটনায় জলিলকে সামাজিকভাবে তিরস্কার করা হয়েছে।’’
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘‘গাছে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়নি। তার আগেই স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা হয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/তারিকুল/রাজীব