ভারতীয় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলির স্ত্রী ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছেন। তার এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। যেখানে তিনি এক ব্যক্তির বিভিন্ন সংস্করণ নিয়ে কথা বলেছেন।

পোস্টে আনুশকা লিখেছেন, “প্রত্যেক মানুষের মনে আপনার একটি আলাদা সংস্করণ বিদ্যমান। আপনি যেভাবে নিজেকে ভাবেন, সেটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই সত্য। এমনকি, আপনিও জানেন না প্রকৃতপক্ষে আপনি কে। প্রত্যেক ব্যক্তি যাদের সাথে আপনি দেখা করেন, সম্পর্ক গড়ে তোলেন বা রাস্তায় চোখাচোখি হয়, তাদের মনে আপনার আলাদা একটি প্রতিচ্ছবি তৈরি হয়।”

তিনি আরও যোগ করেন যে, এমনকি পরিবারের সদস্যদের কাছেও একজন ব্যক্তি ভিন্নরূপে ধরা দেয়। “আপনার মা, বাবা, ভাইবোনের কাছে আপনি যে ব্যক্তি, কর্মস্থলে সহকর্মীদের কাছে আপনি সেই একই ব্যক্তি নন। প্রতিবেশী বা বন্ধুদের চোখেও আপনি আলাদা। হাজারো সংস্করণে আপনার অস্তিত্ব রয়েছে মানুষের মনে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, আপনার নিজস্ব ‘আমি’ বলে কিছু নেই।”

আরো পড়ুন:

খুশদিল শাহকে শাস্তি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করে আর্থিক বিপর্যয়ে পাকিস্তান

এদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ইনোভেশন ল্যাব আয়োজিত ‘ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিট’-এ বিরাট কোহলি তার হতাশার কথা জানান যে, আন্তর্জাতিক সফরে ক্রিকেটারদের স্ত্রী বা সঙ্গীরা আর আগের মতো সহজে সফরসঙ্গী হতে পারেন না।

কোহলি বলেন, “বাইরের জগতে যত চাপই থাকুক না কেন, পরিবারের কাছে ফিরে আসাটা মানসিকভাবে স্থির থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনকার নীতির কারণে সেটি সহজ হচ্ছে না।”

তিনি আরও জানান, যখন কোনো খেলোয়াড় পারফর্ম করতে ব্যর্থ হন, তখনই এই বিতর্ক ওঠে যে, সফরে স্ত্রী বা সঙ্গীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা উচিত। এই ধরনের আলোচনা তাকে যথেষ্ট হতাশ করে। কোহলি বলেন, “মানুষ বুঝতেই পারে না যে, পরিবারের উপস্থিতি একজন খেলোয়াড়ের জন্য কতটা মূল্যবান। অথচ, যাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, তাদের নিয়েই আলোচনা শুরু হয়ে যায় এবং বলা হয়— ‘তাদের দূরে রাখা উচিত’।”

বিসিসিআইয়ের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো আন্তর্জাতিক সফর যদি ৪৫ দিনের বেশি হয়, তাহলে খেলোয়াড়দের স্ত্রী বা সঙ্গীরা একবারের জন্য যোগ দিতে পারবেন। তবে আনুশকার এই পোস্ট কোহলির মন্তব্যের প্রতিফলন কিনা, তা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তবে দু’টি বিষয় একসঙ্গে সামনে আসায় এটি নিয়ে আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক হল র জন য আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে অধ্যাদেশের খসড়াটি সচিব কমিটির মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি প্রস্তাবিত পুলিশ কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে।

খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এই কমিশনের চেয়ারপারসন হবেন। সদস্য থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ; গ্রেড-২ পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা; অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা; পুলিশ একাডেমির একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ; আইন, অপরাধবিজ্ঞান বিষয়ের একজন কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন একজন মানবাধিকারকর্মী।

আরও পড়ুনপুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে স্বাধীন কমিশন অপরিহার্য৮ ঘণ্টা আগেকমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন।

কমিশনের চেয়ারপারসন আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সদস্যরা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির সমপদমর্যাদার হবেন। সদস্যরা যোগদানের দিন থেকে চার বছর নিজ নিজ পদে থাকবেন। মেয়াদ শেষে কোনো সদস্য আবার নিয়োগের যোগ্য হবেন না।

অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ প্রতিপালনে বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বলা হয়েছে—এই কমিশন যেকোনো কর্তৃপক্ষ বা সত্তাকে কোনো নির্দেশ দিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সত্তা অনধিক তিন মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। তবে কমিশনের নির্দেশ বা সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা হলে সে ক্ষেত্রে নির্দেশ বা সুপারিশ পাওয়ার অনধিক তিন মাসের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে। কমিশন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে যে নির্দেশ বা সুপারিশ পাঠাবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ বা সুপারিশ কমিশন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করে কমিশনকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুনকোনো দল নয়, পুলিশের আনুগত্য থাকবে আইন ও দেশের প্রতি৯ ঘণ্টা আগেপুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এই কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগের সুপারিশ প্রদানের জন্য সাত সদস্যের সমন্বয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হবে। খসড়া অধ্যাদেশে প্রধান বিচারপতির মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপারসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মনোনীত একজন সরকারদলীয় এবং একজন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যকে বাছাই কমিটিতে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যূনতম পাঁচ সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হওয়া ও বাছাই কমিটির বাছাই প্রক্রিয়া শুরুর ৩০ দিনের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।

আরও পড়ুন‘আওয়ামী পুলিশ, বিএনপি পুলিশ’ তকমা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ কঠিন: সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা১৭ ঘণ্টা আগে

পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ খসড়ায় কমিশন প্রতিষ্ঠা, কার্যালয়, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ, কমিশনের সদস্য হওয়ার জন্য কারা অযোগ্য, সদস্যদের পদত্যাগ, অপসারণ, পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি, নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান-নিষ্পত্তি, পুলিশ সদস্যদের সংক্ষোভ নিরসন, পুলিশপ্রধান নিয়োগ, আইন-বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন ও গবেষণা বিষয়েও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

পুলিশ কমিশন গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পর জুলাই জাতীয় সনদেও এটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনমাঝেমধ্যে শুনতে হয়, ‘উনি কি আমাদের লোক’: আইজিপি১৭ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত, সচিব কমিটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠাবে
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া
  • আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
  • নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের ৩১ বিভাগকে প্রস্তুতির নির্দেশ ইসির