২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থাকতে বিশেষ যে খাবার খাচ্ছেন রোনালদো
Published: 18th, March 2025 GMT
বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। এই বয়সে বেশির ভাগ ফুটবলার বুটজোড়া তুলে রেখে অবসর নিয়ে চলে যান অবকাশে। কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো ব্যতিক্রম। বয়সের ছাপ পড়তে না দিয়ে ম্যাচের পর ম্যাচে তিনি গোল করেই চলেছেন। মাঠের রোনালদোকে দেখলে বোঝাই যায় না বয়স বলে কোনো কিছু আসলেই বাধা তৈরি করতে পারে!
অথচ রোনালদোর চেয়ে বয়সে ছোট হয়েও ফিটনেস নিয়ে সংগ্রাম করতে হচ্ছে নেইমার ও লিওনেল মেসির মতো তারকাকে। ফিটনেসের দিক থেকে ‘বুড়ো’ রোনালদোর ধারেকাছেও নেই এ দুজন।
প্রশ্ন হচ্ছে, রোনালদোর এমন ফিটনেসের রহস্য কী? পর্তুগিজ মহাতারকার অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচেতনতা, খাবার নিয়ে নিয়ে সতর্কতা এবং জিমে সময় কাটানোর গল্প তো বেশ প্রচলিত। কিন্তু এবার জানা গেল বিশেষ একটি বিশেষ খাবারের কথাও, যে খাবার নাকি বছরের পর বছর ধরে রোনালদোকে তাঁর ফিটনেস ঠিক রাখতেও দারুণ সহায়তা করছে।
আরও পড়ুনমেসি ও রোনালদো এখন কত টাকার মালিক১৪ মার্চ ২০২৫রোনালদোকে ফিট থাকতে যে খাবারটি সাহায্য করছে সেটির নাম বাকালহাউ আ ব্রাস। পর্তুগিজ এই খাবারটি শুধু স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য রোনালদো খান এমন না, এটি নাকি তাঁর প্রিয় খাবারও বটে। মূলত রোনালদোর মায়ের রেসিপিতে তৈরি করা হয় এই খাবারটি। যেটি বানানো হয় লবণাক্ত কড মাছ, পেঁয়াজ, আলু ও ডিম দিয়ে। এই খাবার বানাতে নাকি খুব বেশি সময়ও লাগে না।
এ খাবারটি রোনালদোর এতটাই প্রিয় যে লিসবনে তাঁর মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টেও এটি নিয়ে এসেছেন। মূলত রোনালদোর মায়ের রেসিপি অনুসরণ করেই তৈরি করা হয় খাবারটি। এই খাবারটি নিয়ে রোনালদো বলেছেন, ‘এটা আমাকে আমার শৈশবের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমাকে শক্তিশালী রাখে।’
তবে ধারণা করা হয় বাকালহাউ আ ব্রাস ছাড়াও রোনালদো নিয়মিত সাধারণত উচ্চ আমিষযুক্ত সম্পন্ন খাবার খেয়ে থাকেন। তবে চিনি ও মদ তিনি এড়িয়ে চলেন এবং পানীয় হিসেবে অধিক আস্থা রাখেন পানিতেই।
আরও পড়ুন৪০ বছরেও রোনালদো কেন জাতীয় দলে, ব্যাখ্যা দিলেন কোচ১১ মার্চ ২০২৫সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরের হয়ে বর্তমান পূর্ণ ফিট রোনালদো আছেন দারুণ ছন্দে। ক্লাবটির হয়ে এ মৌসুমে ৩৩ ম্যাচে তিনি করেছেন ২৮ গোল। আন্তর্জাতিক বিরতিতে নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ খেলতে রোনালদো সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন জাতীয় দল পর্তুগালে। জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার পর এক বার্তায় ঘরে ফিরে ভালো লাগার কথাও বলেছেন তিনি।
আগামী ২০ মার্চ রাতে শেষ আটে প্রথম লেগে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল। তিন দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ডেনমার্ককে আতিথ্য দেবে রোনালদোর পর্তুগাল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই খ ব র ফ টন স পর ত গ
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।