রমজান মাসে রোজা ও ঈদের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের কাছে বিশেষ অর্থ বা রেমিট্যান্স প্রেরণ করেন। দেশে রেমিট্যান্সের টাকা পাঠানোর জন্য ‘ট্যাপট্যাপ সেন্ড’ অ্যাপ এখন প্রবাসীদের কাছে সুপরিচিত। সহজে, দ্রুত ও কোনো ট্রান্সফার ফি ছাড়াই অ্যাপ দিয়ে অর্থ পাঠানো যায়। অন্যদিকে, জাকাত ও সদকার মতো আর্থিক অনুদান পাঠাতে রমজান মাসে প্রবাসীরা এমন প্ল্যাটফর্ম বেশি ব্যবহার করেন।
জানা গেছে, সাশ্রয়ী মূল্যে পরিষেবা নিশ্চিত করে ট্যাপট্যাপ সেন্ড। মানি ট্রান্সফার পরিষেবার ট্যাপট্যাপ সেন্ড বিশেষ বিনিময় হার দেয়। তা ছাড়া লুকানো ফি না থাকায় প্রাপক সম্পূর্ণ পরিমাণ অর্থ পায়। ৫০ ডলার থেকে হাজার ডলার– যে কোনো পরিমাণ অর্থ ট্যাপট্যাপ সেন্ডের মাধ্যমে পাঠালে গ্রাহক ওই সমতুল্য টাকা পাবেন।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ট্যাপট্যাপ মাধ্যমে দ্রুত টাকা পাঠাতে পারেন। বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ অংশীজন ব্যাংক থেকে দেশের গ্রাহক নগদে সংগ্রহ করতে পারেন। ভুলবশত লেনদেনে অর্থ ফেরতের জন্য সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশে ট্যাপট্যাপ সেন্ড অ্যাপটি ব্যবহারযোগ্য। উল্লিখিত দেশ থেকে বাংলাদেশেও প্রবাসীরা অর্থ প্রেরণের সুবিধা পাবেন বলে উদ্যোক্তারা জানান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব স
এছাড়াও পড়ুন:
তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’
রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।
ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।
মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’
ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’
‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।
রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/কেয়া/রাজীব