ইংল্যান্ড দলে ডাক পেলে কী করতেন, জানালেন হামজা
Published: 19th, March 2025 GMT
ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন হামজা চৌধুরী। যার অর্থ ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সিস্টেমে ছিলেন ডিফেন্সিভ এই মিডফিল্ডার। যে কোন খেলাধুলায় কেউ অনূর্ধ্ব-২১ খেললে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখা খুবই স্বাভাবিক। হামজার জন্যও হয়তো গল্পটা আলাদা ছিল না।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলে ডাক পেলে কী করতেন হামজা? তখন কি বাংলাদেশ দলে খেলার এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে খুব কৌশলী উত্তর দিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফুটবলার।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত (বাংলাদেশের হয়ে খেলার) নিয়েছি। ইংল্যান্ডের হয়ে কখনো ডাক পাইনি। ওই সুযোগ তাই আমার আসেনি। সুতরাং সিদ্ধান্তও নিতে হয়নি। তবে সুযোগ আসলে অবশ্যই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতাম। বাংলাদেশে খেলতে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা উৎসাহিত করেছে।’
হামজাকে পাওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়েছে বাফুফে। জানা যায়, শুরুতে একবার বাফুফের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি। বারবার আলোচনা ভেস্তেও গেছে। এরপর ফিফা ও ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন থেকে অনুমতি পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। ক্লাবের থেকে অনুমতি পাওয়াও সহজ ছিল না।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার অনুমিত পাওয়া প্রসঙ্গে হামজা বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। সর্বশেষ নতুন (বাফুফে) প্রেসিডেন্ট তাবিথ আওয়াল আলোচনা শুরু করেন। পরিকল্পনা জানান। কোচের সঙ্গ কথা হয়। আমার মনে হয়েছে, এই দলটা সাফল্য পেতে চাই। আমারও পরিবার নিয়ে এখানে আসতে খুব ভালো লাগে। কোচ ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর আত্মবিশ্বাস পাই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি