এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে প্রাথমিক দলে জায়গা পেয়েছিলেন ইতালিপ্রবাসী তরুণ ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম। সৌদি আরবের অনুশীলন ক্যাম্পেও ছিলেন তিনি। তবে চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে ইতালিতে। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন এই ফরোয়ার্ড।  

নিজের ফেসবুকে এক আবেগঘন বার্তায় ফাহমিদুল জানালেন, এখনও থেমে যায়নি তার স্বপ্ন, ভবিষ্যতে লাল-সবুজ জার্সিতে দেশের হয়ে মাঠে নামতেই চান তিনি।

ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাব ওলবিয়া ক্যালসিও এফসিতে খেলা এই ১৮ বছর বয়সী তরুণ লেখেন,  ‘আমি ফাহমিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সকল মানুষের ভালোবাসা, সমর্থন ও উৎসাহের জন্য সত্যিই আমি কৃতজ্ঞ। আমার প্রতি আপনাদের অটল বিশ্বাস আমার যাত্রাপথে বড় ছাপ ফেলেছে এবং যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের সবাইকে মনের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাই।’

বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন ফাহমিদুল,  ‘বাংলাদেশ ফুটবল দলে খেলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম আমি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এবার সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোয়নি। তবে আমি বিশ্বাস করি, যা হয় সেটা কোনো না কোনো কারণেই হয় এবং আমার পথচলা কোনভাবেই শেষ হয়ে যায়নি। সৃষ্টিকর্তা যদি চান, একদিন আমি লাল-সবুজের জার্সি পরে মাঠে নামব, দেশ ও সমর্থকদের জন্য আমার সবকিছু উজাড় করে দেব। ততদিন পর্যন্ত, সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আগামী ২৫ মার্চ ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার দলটি পৌঁছেছে ভারতের শিলংয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ল দ শ ফ টবল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চর-আবাবিল ইউনিয়নের উদমারা এলাকায় মারধরে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৫২)। আড়াই মাস ধরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুজনকে গতকাল রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত জাহাঙ্গীর আলম স্থানীয় একটি মসজিদের কমিটিতে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। গত ৭ এপ্রিল তাঁর ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা এবং তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মসজিদের পাশে জুয়ার আসর বসানো ও মাদক সেবনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাব্বির হোসেন (২১) ও রহিম উদ্দিন (৩০)। তাঁরা দুজনই উদমারা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের দুজনকে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় ৭ এপ্রিল লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলার আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া বেগম। আদালত রায়পুর থানাকে মামলাটি গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মসজিদের আশপাশে জুয়ার আসর ও মাদক সেবন করতেন কিশোর গ্যাংয়ের কিছু সদস্য। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে প্রতিবাদ করেন জাহাঙ্গীর আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলা চালানো হয়।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আড়াই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ