কখনও কি এমন হয়েছে, ইনস্টাগ্রাম থেকে বন্ধুর ডিএম (ডিরেক্ট মেসেজ) পেয়েছেন। কিন্তু অ্যাকাউন্টটি অপরিচিত। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভাবনা থাকে বার্তা প্রেরিত বন্ধু কোনো অপরাধীর মাধ্যমে ছদ্মবেশের শিকার হয়েছেন।
অপরাধী কর্তৃক অন্যের অ্যাকাউন্টের ছদ্মবেশ ধারণ নতুন কিছু নয়। আর যে কারও সঙ্গেই এমনটি ঘটতে পারে। তাই অনলাইনে নিজ তথ্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। ছদ্মবেশ বা ক্ষতিকর কার্যক্রম থেকে নিজেদের পরিচয় সব সময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।
সন্দেহজনক ‘ডিএম’ প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। যদি বন্ধু বা অন্য কেউ ইনস্টাগ্রামে ছদ্মবেশের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে কী করবেন? ইনস্টাগ্রামে ছদ্মবেশের শিকার হয়েছেন শুধু এমন ব্যক্তিই রিপোর্ট করতে পারবেন। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে সহায়তা করা সম্ভব।
ছদ্মবেশের শিকার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে আপনি 
ই-মেইল বা ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। যেন আক্রান্তের কারণে রিপোর্ট করতে পারেন।
ইনস্টাগ্রামে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডিরেক্ট মেসেজ পাঠাতে পারেন। তিনি যেন পদক্ষেপ নিতে পারেন। যদি ছদ্মবেশের শিকার হওয়া অ্যাকাউন্টটি প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন কারও (যদি আত্মীয়) হয়, তাহলে ফরমটি ব্যবহার করে রিপোর্ট করতে পারবেন।
যদি অন্য কেউ ইনস্টাগ্রামে ছদ্মবেশ ধারণ করে, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অবশ্যই অ্যাপ থেকে বা 
www.

instagram.com/hacked/ লিঙ্কে ভিজিট করে রিপোর্ট করতে হবে। প্রসঙ্গত, রিপোর্টটি বেনামি হবে। যদি না তা মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন সম্পর্কিত রিপোর্ট না হয়। রিপোর্ট কে করেছেন, তা রিপোর্ট হওয়া অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে দেখা যাবে না।
কিছু ঘটার আগেই সুরক্ষায়
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (টুএফএ) সচল রাখবেন। ইউনিক পাসওয়ার্ড বা পাসফ্রেজ ব্যবহার করবেন। অপরাধীর জন্য শুধু ‘ফরগেট পাসওয়ার্ড’ ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া কঠিন হবে। যে
ই-মেইল ও ফোন নম্বর ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো হালনাগাদ বা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা, তা যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প র ট করত ইনস ট গ র ম ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ