কখনও কি এমন হয়েছে, ইনস্টাগ্রাম থেকে বন্ধুর ডিএম (ডিরেক্ট মেসেজ) পেয়েছেন। কিন্তু অ্যাকাউন্টটি অপরিচিত। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভাবনা থাকে বার্তা প্রেরিত বন্ধু কোনো অপরাধীর মাধ্যমে ছদ্মবেশের শিকার হয়েছেন।
অপরাধী কর্তৃক অন্যের অ্যাকাউন্টের ছদ্মবেশ ধারণ নতুন কিছু নয়। আর যে কারও সঙ্গেই এমনটি ঘটতে পারে। তাই অনলাইনে নিজ তথ্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। ছদ্মবেশ বা ক্ষতিকর কার্যক্রম থেকে নিজেদের পরিচয় সব সময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।
সন্দেহজনক ‘ডিএম’ প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। যদি বন্ধু বা অন্য কেউ ইনস্টাগ্রামে ছদ্মবেশের শিকার হন, সে ক্ষেত্রে কী করবেন? ইনস্টাগ্রামে ছদ্মবেশের শিকার হয়েছেন শুধু এমন ব্যক্তিই রিপোর্ট করতে পারবেন। তবে কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে সহায়তা করা সম্ভব।
ছদ্মবেশের শিকার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে আপনি 
ই-মেইল বা ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। যেন আক্রান্তের কারণে রিপোর্ট করতে পারেন।
ইনস্টাগ্রামে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডিরেক্ট মেসেজ পাঠাতে পারেন। তিনি যেন পদক্ষেপ নিতে পারেন। যদি ছদ্মবেশের শিকার হওয়া অ্যাকাউন্টটি প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন কারও (যদি আত্মীয়) হয়, তাহলে ফরমটি ব্যবহার করে রিপোর্ট করতে পারবেন।
যদি অন্য কেউ ইনস্টাগ্রামে ছদ্মবেশ ধারণ করে, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অবশ্যই অ্যাপ থেকে বা 
www.

instagram.com/hacked/ লিঙ্কে ভিজিট করে রিপোর্ট করতে হবে। প্রসঙ্গত, রিপোর্টটি বেনামি হবে। যদি না তা মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন সম্পর্কিত রিপোর্ট না হয়। রিপোর্ট কে করেছেন, তা রিপোর্ট হওয়া অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে দেখা যাবে না।
কিছু ঘটার আগেই সুরক্ষায়
টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (টুএফএ) সচল রাখবেন। ইউনিক পাসওয়ার্ড বা পাসফ্রেজ ব্যবহার করবেন। অপরাধীর জন্য শুধু ‘ফরগেট পাসওয়ার্ড’ ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া কঠিন হবে। যে
ই-মেইল ও ফোন নম্বর ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো হালনাগাদ বা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা, তা যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র প র ট করত ইনস ট গ র ম ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন

দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে চীনের কোস্টগার্ড দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এ ঘটনা ফিলিপাইনের সঙ্গে দেশটির আঞ্চলিক বিরোধ আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিরোধপূর্ণ প্রবালপ্রাচীর স্যান্ডি কে-তে কালো পোশাক পরা কোস্টগার্ডের চার কর্মকর্তাকে চীনের জাতীয় পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এপ্রিলের শুরুর দিকে চীন ওই প্রবালপ্রাচীরে ‘সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করেছে’, সিসিটিভি এমনটাই জানিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কিছু দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের পাল্টাপাল্টি দাবি আছে।

এ ঘটনার পর রোববার ফিলিপাইন তিনটি বালুচরে নামার কথা জানায় এবং চীনের ছবির অনুকরণে তাদের কর্মকর্তারাও একটি প্রবালপ্রাচীরে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছে এমন একটি ছবি প্রকাশ করে। অবশ্য ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী যেসব বালুচরে নেমেছে, তার মধ্যে কোনোটি স্যান্ডি কে কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি জানায়, তারা একটি বালুচর থেকে এক হাজার গজ দূরে চীনা কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এবং আরও সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযানের ‘অবৈধ উপস্থিতি’ দেখতে পেয়েছিল।

পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে দেশের সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার ও কর্তৃত্ব রক্ষায় ফিলিপাইন সরকারের অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ এই অভিযান,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

রোববারই পরে এক বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ড জানায়, তারা তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে ৬ ফিলিপিনোর ‘অবৈধভাবে নামার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে’। স্যান্ডি কে চীনে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীর নামে পরিচিত।

চীনের দিক থেকে সতর্কবার্তা ও নিরুৎসাহিত করার পরও ফিলিপাইনের ছয়জন অবৈধভাবে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে নামে। চীনের কোস্টগার্ড সদস্যরা এরপর ওই প্রবালপ্রাচীরে নামে এবং তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লিউ দেজুন এমনটাই বলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন