বাসিয়া নদীর আবর্জনা অপসারণে ব্যয় ৬ লাখ
Published: 22nd, March 2025 GMT
বিশ্বনাথ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা বাসিয়া নদী বর্তমানে দখল আর দূষণে বিপন্ন। বর্তমানে ছোট একটি খালের আকার ধারণ করেছে নদীটি।
বাসিয়ার তীরে অসংখ্য বাসাবাড়ি ও বাজার গড়ে উঠেছে। বাসাবাড়ি ও বাজারের ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা ফেলার একমাত্র স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন এই নদীটি। ফলে নদীতে পানির বদলে কেবল আবর্জনার স্তূপ, যা পরিবেশের জন্য এক বিরাট হুমকিস্বরূপ। তবে অনেক দিন পর বিশ্বনাথে পৌরসভা বাস্তবায়ন হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো স্থান নির্ধারণ হয়নি। তাই বাসিয়া নদীটিকে ডাস্টবিনে পরিণত করা হয়। অবশেষে পৌরবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবার বাসিয়া নদীর ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্বনাথ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। আগামী পাঁচ দিন চলবে এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি। কাজ করা হবে পৌরসভার টিঅ্যান্ডটি রোড মোড় থেকে উপজেলা কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত। সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। আর ময়লা-আবর্জনা সিলেট সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক আলাউদ্দিন কাদেরের সভাপতিত্বে ও উপসহকারী প্রকৌশলী আসিফ লৌহ তালুকদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাইদ, পৌর প্রকৌশলী ভবি মজুমদার, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী, সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মতিউর রহমান, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী শিপন প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাত-পা বাঁধা ও কম্বলে প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা ও কম্বল দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর আনসার ক্যাম্পের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
আরো পড়ুন:
উত্তর বাড্ডায় বদ্ধ ঘরে মিলল নারী-পুরুষের মরদেহ
নিখোঁজের ১২ দিন পর কৃষকের গলিত মরদেহ উদ্ধার
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মজিবর মাঝি (৪৫)। তিনি বরিশাল জেলার হিজলা থানার বাসিন্দা। মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় থেকে তিনি অটোরিকশা চালাতেন। গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে তার সন্ধান পাচ্ছিলেন না স্বজনরা।
নিহত মজিবরের ছেলে মো. রাসেল বলেন, “বাবা মুন্সীগঞ্জে একা থাকতেন। তিনি স্থানীয় একটি গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় অটোরিকশাটি চালাতেন। গত শুক্রবার মাওয়া যাওয়ার কথা বলে তিনি বের হন। এরপর আর ফেরেননি। গতকাল গ্যারেজ মালিক ফোন দিয়ে জানালে, আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ সকালে বাবার মরদেহ ডোবায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অটোরিকশাটির কোনো হদিস নেই।”
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ