ঈদ আনন্দকে স্মার্ট ডিভাইসে উপভোগ্য করতে রয়েছে ২০ হাজার টাকার মধ্যে বেশ কিছু স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের প্রতিযোগিতায় ২০ হাজার টাকার মধ্যে রয়েছে সময়োপযোগী কয়েকটি মডেল। স্পার্ক সিরিজের ৩০, ৩০ প্রো, ৩০ সি আর গো ওয়ান মডেল রয়েছে সে তালিকায়।
মডেল স্পার্ক থার্টি
টিইউভি রাইনল্যান্ডের সনদপ্রাপ্ত মডেলে রয়েছে পাঁচ বছরের পারফরম্যান্স নিশ্চয়তা। ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জ তিনটি ইন্টেলিজেন্ট চার্জিং মোড অফার করে। ৭০ মিনিটে চার্জ হয় শূন্য থেকে শতভাগ। থ্রিএক্স লসলেস জুম ও ১০এক্স ডিজিটাল জুম এবং প্রধান ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেল। প্রসেসর হবে মিডিয়াটেক হেলিও জি১০০ চিপসেট।
৬৪ মেগাপিক্সেলের সনি আইএমএক্স৬৮২ প্রধান ক্যামেরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সমৃদ্ধ এআইজিসি পোর্ট্রেট, এআই ইরেজার ও এআই আর্টবোর্ড ছাড়াও বিস্তৃত পরিসরের সর্বাধুনিক এআইভিত্তিক ফিচার।
মডেল স্পার্ক ৩০সি
মডেলে রয়েছে ৫০ মাসের দীর্ঘস্থায়ী ফ্লুয়েন্সি; ফলে চার বছরের বেশি সময় ধরে কোনো রকম ল্যাগ ছাড়াই উপভোগ করা যাবে স্মুথ অভিজ্ঞতা। রিফ্রেস রেট ১২০ হার্টজ, ৬.
কারিগরি বৈশিষ্ট্য আইপি৫৪ পানি, ধুলা ও তেল প্রতিরোধী ফিচার। উজিং, গেমিং বা স্ট্রিমিং যে কোনো পরিস্থিতিতে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, ৬.৬৭ ইঞ্চি আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। রয়েছে অক্টাকোর টি৬১৫ প্রসেসর, ৪.৫জি লাইটিনিং মোবাইল নেটওয়ার্ক। প্রাইমারি ক্যামেরা ১৩ মেগাপিক্সেল। ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। দুটি সংস্করণ যথাক্রমে তিন জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ, ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’