উপজেলা পর্যায়ে স্বল্প আয়ের মানুষদের স্বস্তি দিতে ন্যায্যমূল্যে খোলাবাজারে (ওএমএস) খাদ্যসহায়তা বাড়াচ্ছে সরকার। এখন থেকে প্রতি উপজেলায় ৩ টন চালের পরিবর্তে ৪ টন বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের ৪০১ একটি উপজেলায় খোলাবাজারে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়। আগে উপজেলাপ্রতি বরাদ্দ ছিল ৩ টন। এখন থেকে সেটা ৪ টনে উন্নীত করা হবে। খোলাবাজারে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি করছে সরকার।

তবে পার্বত্য অঞ্চলের ৩ জেলার ২৩টি উপজেলায় প্রতিদিন ১ টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। সারা দেশে ১ হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে ট্রাক ও দোকানের মাধ্যমে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকা ও দুই কেজির আটার প্যাকেট ৫৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিটি করপোরেশন, জেলা সদর, পৌরসভা ও শ্রমঘন এলাকার ১ হাজার ৫৭টি কেন্দ্রে ওএমএস কার্যক্রমে চলমান আছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ