রাজধানীর পল্টন কালভার্ট রোড এলাকায় একটি বাসায় রান্না করার সময় জ্বলন্ত চুলার ওপর পড়ে দগ্ধ হয়েছেন মা ও মেয়ে। তারা হলেন– হোসনে আরা (৬৩) ও তাঁর মেয়ে তাসলিমা সুলতানা (৪০)। সোমবার দুপুরে এ দুর্ঘটনার পর ভবনটির বাসিন্দা সালাউদ্দিন তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

তিনি বলেন, হোসনে আরা অসুস্থ, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। দুপুরে রান্না করতে গিয়ে চুলার ওপরে পড়ে যান। তাঁর চিৎকার শুনে মেয়ে তাসলিমা বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তিনিও দগ্ধ হন। পরে তাদের বাসা থেকে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি তারা দগ্ধ হয়ে পড়ে আছেন।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, হোসনে আরার শরীরের ৮৮ শতাংশ ও তাসলিমা সুলতানার ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। হোসনে আরার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ

ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।

বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।

পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ