প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে ছিল ন্যাশনাল ফিড মিল
Published: 25th, March 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই ২৪-সেপ্টেম্বর ২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, ওই প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে।
গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ২৪ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯ পয়সা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ১ পয়সা, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা।
বলা হয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানির রাজস্ব আয় অনেকটা কমে যাওয়ায় মুনাফা কমে গেছে। মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, তার ছাপ পড়েছে কোম্পানির মুনাফায়। সেই সঙ্গে জুলাই-আগস্ট সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতি বিপন্ন হয়েছে বলে মনে করে কোম্পানিটি।
গত এক বছরে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি গত কয়েক বছরে তেমন একটা মুনাফা দেয়নি। ২০২২ সালে তারা লভ্যাংশ দিয়েছে ১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে দিয়েছে ২ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২১ সালে তারা স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৮ শতাংশ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১০ টাকা ৮৩ পয়সা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম প র ন ত ক স প ট ম বর ন হয় ছ বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।
আরো পড়ুন:
নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা
সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।
অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ