জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার এই মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.

আক্তার হোসেন আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১ হাজার ৫৪০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, প্রথম মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর দ্বিতীয় মামলায় তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায়, এই সম্পদকে পাচার বলছে দুদক।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নজরুল ইসলাম মজুমদারকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকা নাসা গ্রুপের কর্ণধার ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে দুই দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

দুদক ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নজরুল ইসলামকে আজ আদালতে হাজির করে পৃথক দুই মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে দুদক। আসামিপক্ষ থেকে দুদকের আবেদন নাকচ চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত নজরুল ইসলামকে দুই দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।

গত ৬ মার্চ নজরুল ইসলামের ছয়টি বাড়ি ও আটটি প্লট জব্দের আদেশ দেন আদালত। পাশাপাশি ৫৫ কোম্পানির ৫৬ কোটি ৬ লাখ ৫৮ হাজার শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুননজরুল ইসলাম মজুমদারের ছয় বাড়ি, আট প্লট জব্দের আদেশ০৬ মার্চ ২০২৫

নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) সাবেক সভাপতি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নজরুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

আরও পড়ুনএবার নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রীর প্লট, ফ্ল্যাট ও শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ১৮ জুন ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত নজরুল ইসলাম। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ২৫ আগস্ট নজরুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী নাছরিন ইসলাম ও পুত্র-কন্যার ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়।

২০২৪ সালের ১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আরও পড়ুনএবার নজরুল ইসলাম মজুমদারের যুক্তরাজ্যে থাকা ৫৯৮ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোকের আদেশ০৯ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নজরুল ইসলাম মজুমদারকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ