আর্থ্রাইটিস আক্ষরিক অর্থে হাড়ের জয়েন্টগুলিতে ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া বোঝায়। জয়েন্টগুলি হল যেখানে দুটি হাড় মিলিত হয়, যেমন কনুই, আঙ্গুল বা হাঁটু। আর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যথা, শক্ত হওয়া, চলাফেরার সীমিত পরিসর এবং জয়েন্টগুলোতে এবং আশেপাশের টিস্যুতে ফুলে যাওয়া।

অস্টিওআর্থ্রাইটিস হল সমস্ত আর্থ্রাইটিসের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ, অন্যটি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস (PsA)। তবে ধূমপান রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায় এবং বিদ্যমান আর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে।

যদিও আর্থ্রাইটিসের কোনও সুপরিচিত প্রতিকার নেই, তবুও ব্যথা কমানোর ওষুধ, প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্যকারী খাদ্যের সাহায্যে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। তবে ব্যথা কমাতে আর্থ্রাইটিস ডায়েটের ভূমিকা সুপরিচিত।

আর্থ্রাইটিসের জন্য যেসব খাবার খাবেন

মাছ: চর্বিযুক্ত মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। স্যামন, টুনা এবং সার্ডিন খাওয়া শক্ত হওয়া এবং ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করে। তাই মাছ আর্থ্রাইটিসের ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

বিনস: নিয়মিত বিনস খাওয়া অনেক দিক থেকেই অত্যন্ত উপকারী। লাল বিনস, কিডনি বিনস, পিন্টো বিনস ইত্যাদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। তাছাড়াও, এই বিনসগুলি সিআরপি (সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন) এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং এইভাবে জয়েন্টের প্রদাহ এবং ফোলাভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

বাদাম এবং বীজ: ডাক্তার এবং পুষ্টিবিদরা বাদাম এবং বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেন কারণ এগুলি শক্তি বৃদ্ধি করে। আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য, এগুলি মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের কারণে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যদিও বাদাম, পেস্তা এবং পাইন বাদামের মতো বাদাম উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত হতে পারে, তবে নিয়মিত দৈনিক গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বেরি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্থোসায়ানিন সমৃদ্ধ, বেরি প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং জয়েন্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

পাতাযুক্ত সবুজ শাক: পালং শাক, ব্রোকলি ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা হাড়কে শক্তিশালী করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।

সাইট্রাস ফল: কমলালেবু, লেবু এবং লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদন এবং সুস্থ তরুণাস্থি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।

আদা এবং রসুন: আদা এবং রসুনের প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি দীর্ঘকাল ধরে প্রাকৃতিক এবং সামগ্রিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আস্ত শস্যদানা: বাদামী চাল, কুইনোয়া এবং ওটস ফাইবারের চমৎকার উৎস, যা প্রদাহের একটি চিহ্নিতকারী সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (CRP) এর মাত্রা কমাতে পারে।

জলপাই তেল: জলপাই তেলে ওলিওক্যান্থাল থাকে, যা আইবুপ্রোফেনের মতো প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব রাখে। এটি মাখন বা অন্যান্য কম স্বাস্থ্যকর তেলের একটি চমৎকার বিকল্প।

গ্রিন টি: পলিফেনলের একটি শক্তিশালী উৎস, গ্রিন টি প্রদাহ কমায় এবং তরুণাস্থি ধ্বংসের গতি কমিয়ে দেয়।

পুষ্টিবিদরা বিশ্বাস করেন যে নিয়মিতভাবে আপনার খাদ্যতালিকায় এগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে বাতের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।

আর্থ্রাইটিসের জন্য যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

তামাক: তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে, যার মধ্যে কিছু রোগ জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করে। ধূমপায়ীদের রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে ।

ভাজা খাবার: ভাজা খাবার কমিয়ে ফল ও শাকসবজি ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল জয়েন্টের ব্যথা এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া।

প্রক্রিয়াজাত এবং চিনিযুক্ত খাবার: চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি পরিমাণে AGEs (অ্যাডভান্সড গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্ট) এর মাত্রা বৃদ্ধি করে, যা সাইটোকাইন উৎপাদনকে ট্রিগার করে। সাইটোকাইন হল প্রদাহজনক বার্তাবাহক যা আর্থ্রাইটিসের ফোলাভাব এবং ব্যথা বৃদ্ধি করে।

দুগ্ধজাত দ্রব্য: দুগ্ধজাত দ্রব্যে থাকা প্রোটিনের ধরণের কারণে প্রদাহ এবং জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে, প্রোটিন জয়েন্টের চারপাশের টিস্যুতে জ্বালাপোড়া করতে পারে। তাই আর্থ্রাইটিস এড়াতে খাবারের তালিকায় দুগ্ধজাত দ্রব্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

লাল মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস: এগুলিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং নাইট্রাইট এবং পিউরিনের মতো প্রদাহজনক যৌগগুলি বেশি থাকে, যা আর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ট্রান্স ফ্যাট: ভাজা খাবার, মার্জারিন এবং প্যাকেটজাত খাবারে পাওয়া যায়, ট্রান্স ফ্যাট প্রদাহ বাড়ায় এবং আপনার খাদ্যতালিকা থেকে এগুলি বাদ দেওয়া উচিত।

পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট: সাদা রুটি, পাস্তা এবং অন্যান্য পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে প্রদাহ বৃদ্ধি পায়।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল: অ্যালকোহলে, বিশেষ করে বিয়ারে, পিউরিন থাকে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়াতে পারে, যা আর্থ্রাইটিসের লক্ষণগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

উচ্চ-সোডিয়ামযুক্ত খাবার: টিনজাত স্যুপ, চিপস এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো লবণযুক্ত খাবার জল ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে পারে, যার ফলে জয়েন্টের ফোলাভাব আরও খারাপ হতে পারে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ য য কর ত দ রব য র জন য র একট

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের চার শ্রমিককে বিদেশি বলে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা ভারতের

আসাম রাজ্যের পর গোটা ভারত থেকেই বাংলাদেশি বলে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো (পুশইন) হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তা–ই নয়, প্রমাণের অভাবে আবার তাঁদের অনেককে ফিরিয়েও আনতে হচ্ছে বলে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চল থেকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গেরই সংবাদমাধ্যম।

দক্ষিণ ও মধ্য বাংলার দুই জেলা বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদের চার পরিযায়ী শ্রমিক মহারাষ্ট্রে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁদের ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দেয়। এরপর বিএসএফ তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়। এ চারজনই আবার মুসলমান।

মুম্বাইয়ে কাজ করতে যাওয়া মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের এই চার পরিযায়ী শ্রমিককে মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। কোনো রকম যাচাই না করেই তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে গতকাল রোববার বিকেলে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) কাছ থেকে ওই তিন নাগরিককে ফেরত নিয়ে বিএসএফ তাঁদের কোচবিহার জেলার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

চারজনের মধ্যে তিনজনই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, ভগবানগোলার মহিষাস্থলি গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহবুব শেখ ও বেলডাঙার কাজিশাহার বাসিন্দা মিনারুল শেখ। অন্যজন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফা কামাল। তাঁরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে তাঁরা রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। হেফাজতে নেওয়ার পাঁচ দিন পর তাঁদের উদ্ধার করা হলো বলে জানানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র ‘পুবের কলম’ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাঁদের কাছে বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে দুই প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র ‘পুবের কলম’ আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাঁদের কাছে বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে দুই প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দুই দিন ধরে তাঁরা কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে কিছুটা দূরে জিরো পয়েন্টে ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় মুঠোফোন থেকে ভিডিও বার্তায় ওই চার শ্রমিক তাঁদের দুর্দশার কথা জানান। তারপরেই তাঁদের ফেরানোর তৎপরতা শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলামসহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা। পুলিশও বিষয়টি বিএসএএফকে জানায়।

হরিহরপাড়ার বাসিন্দা শামীম রহমান গণমাধ্যমে বলেন, ‘স্থানীয় তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়। তারপর তাঁদের ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়। তাঁরা উদ্ধার হয়ে ঘরে ফিরছেন ভেবে ভালো লাগছে।’

সূত্রের খবর, বাংলাদেশি সন্দেহে চারজনকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ১০ জুন বিএসএফের হাতে তুলে দেয় মহারাষ্ট্র পুলিশ। তাঁদের মুম্বাই থেকে আগরতলা ও পরে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে পাঠানো হয়। ওই শ্রমিকদের টাকা, মুঠোফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন দুই বছর ধরে মুম্বাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গতকাল সকালে তাঁর স্ত্রী পিংকি বিবি হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখের সঙ্গে দেখা করেন। বিধায়কের মাধ্যমে বৈধ নথি সংসদ সদস্য সামিরুল ইসলাম ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে পাঠানো হয়। তারপরই তাঁদের ঘরে ফেরানোর তৎপরতা শুরু হয়।

হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, নাজিমুদ্দিন এ দেশেরই নাগরিক। তাঁর বৈধ নথি ও নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র রয়েছে।

বিধায়ক নিয়ামত শেখ আরও বলেন, ‘তাঁর মতো আরও তিনজনকে বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় কেন্দ্রের বিএসএফ। গতকাল বিকেলে তাঁরা বিএসএফের হেফাজতে আসেন। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা ঘরে ফিরবেন।’

এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশের তরফে গতকাল জানানো হয়, আটক ব্যক্তিদের কাগজপত্র রোববার বিএসএফের হাতে তুলে দেয় রাজ্য পুলিশ। এরপরে বিএসএফ যাবতীয় কাগজপত্র রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে যাচাইয়ের পরে তা বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) হাতে তুলে দেয়।

এরপর বিএসএফ সবাইকে ফেরানোর ব্যবস্থা করে এবং কোচবিহার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মুর্শিদাবাদ ও বর্তমানের জেলা পুলিশের একটি দল ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে কোচবিহারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আজ সোমবার তাঁদের নিজে নিজে জেলায় ফেরানো হবে বলে জানা গেছে।

চারজনের মধ্যে তিনজনই মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন হরিহরপাড়ার তরতিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মণ্ডল, ভগবানগোলার মহিষাস্থলি গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহবুব শেখ ও বেলডাঙার কাজিশাহার বাসিন্দা মিনারুল শেখ। অন্যজন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুলুট গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফা কামাল।

বাঙালি বলে হেনস্তা পশ্চিমবঙ্গে

তবে শুধু দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকই নন, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত অনেকেই সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অন্যভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।

দিল্লির এক অধ্যাপিকা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক মাসে চারবার দক্ষিণ কলকাতার প্রধান পাসপোর্ট অফিসে গিয়েও তিনি তাঁর ২০০৭ সালের পুরোনো পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেননি।

এই অধ্যাপিকা বলেন, ‘আমাকে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, এখানে প্রচুর বাংলাদেশি ঢুকেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে কারণে আমাদের যাঁদের প্রায় ২০ বছর ধরে বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁদেরও সহজে পাসপোর্ট নবায়ন করা হচ্ছে না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ