স্বাধীনতা দিবসে পিওজে মিউজিক ক্লাবের থিম সং ‘সবুজের আহ্বান’
Published: 26th, March 2025 GMT
মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন (পিওজে) মিউজিক ক্লাবের থিম সং ‘সবুজের আহ্বান’। আজ চ্যানেল আইয়ের পর্দায় গানটির ভিডিওচিত্র প্রচারের পাশাপাশি গানটি পাওয়া যাবে পিওজে মিউজিক ক্লাব এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।
‘সবুজের আহ্বান’ গানটির কথা লিখেছেন খন্দকার হাসনাত করিম পিন্টু। সুর ও সংগীত তানভীর তরী। সহকারী সুর ও সংগীত শাফরিনা। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তানভীর তরী, মইন খান, নউশিন শারমিলি, কেয়া সুহি, জিয়াউল হক ভূঁইয়া ও শাফরিনা। গানটি পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন প্রকৃতিবন্ধু মুকিত মজুমদার বাবু।
পিওজে মিউজিক ক্লাবের থিম সং-এ ফুটে উঠেছে— ফুলের সুবাস, পাখির কাকলি, নদীর কলতান আর বাংলার লোকসংগীতের হারানো ঐতিহ্যের কথা। গানটি মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃতি কেবল দেখার জিনিস নয়, জীবন ও ভালোবাসার অনন্য উৎস।
‘সবুজের আহ্বান’ থিম সং-এর পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘ধ্বংস আর দূষণের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে, সবুজের আহ্বান এক সাহসী উচ্চারণ— দখল নয়, সংরক্ষণ; নীরবতা নয়, প্রতিবাদ; বিচ্ছিন্নতা নয়, সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া সবুজ জীবনের গান। এটি এমন একটি সুর যা গানের মধ্য দিয়ে মানুষকে জাগিয়ে তোলে, পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়, আর বাংলা সংস্কৃতিকে গর্বের সঙ্গে ধারণ করে।’
তানভীর তরী বলেন, ‘যেখানে সুরে মিশে যায় প্রকৃতির স্পর্শ, যেখানে গানে উঠে আসে সবুজের কথা— সেখানেই জন্ম ‘সবুজের আহ্বান’-এর। এ গান শুধুই একটি থিম সং নয়, এ যেন এক প্রাণের অনুভূতি, একটি আলোড়ন, প্রকৃতির কাছে যাওয়ার আহ্বান। তাই গানের সুরে বলি, এসো গাই প্রকৃতির গান, এসো গাই জীবনের গান।’
শাফরিনা বলেন, ‘সবুজ সুরে রাঙাই জীবন স্লোগান ধারণ করে গানটি হয়ে উঠেছে পিওজে মিউজিক ক্লাবের প্রাণ। এই গান সকলকে আহ্বান জানায়, একসাথে গাইতে, একসাথে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে।’
‘সুন্দর প্রকৃতিতে গড়ি সুস্থ জীবন’ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের বহুমুখী উদ্যোগ নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইমপ্রেস গ্রুপের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। ২০১০ সালের ১ আগস্ট থেকে চ্যানেল আইতে শুরু হয় ফাউন্ডেশনের গবেষণাভিত্তিক টিভি অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’, যা বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করে। এর ধারাবাহিকতায় সংগীতের মাধ্যমে পরিবেশ ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘সবুজ সুরে রাঙাই জীবন’ স্লোগানে ২০২৪ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পিওজে মিউজিক ক্লাব’।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ও জ বন
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।