স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে এমন একটি পরিস্থিতি মধ্য দিয়ে সময় পার করেছি যে, অনেকেই মনে করেন চাঁদা দেওয়া আমার দায়িত্ব। আমরা চাঁদাবাজদের স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর চাঁদাবাজির প্র্যাকটিস আর বরদাশত করা হবে না। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ মাঠে মাসব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি কোম্পানীগঞ্জে চাঁদা আদায়ে বাধা দেওয়ায় কয়েকজনকে মারধর করার প্রসঙ্গে আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সহস্র শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতার পেয়েছি, সেখানেও আগের মতো চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসীর মতো ঘটনাগুলো চলমান, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের সৌভাগ্য সমাজে এখনও সচেতন মানুষ আছে। যারা এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও প্রতিবাদ করেছে। 

তিনি বলেন, আমি সারাদেশের তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা যেখানে বিভিন্ন সমিতির নামে
টোকেন ধরিয়ে চাঁদাবাজি দেখবেন সেখানেই প্রতিবাদ করবেন, রুখে দাঁড়াবেন। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী চাঁদাবাজি দমনে কাজ করেছে। আপনারা তাদের সহযোগিতা করুন। 

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদরা জীবন দিয়েছেন একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য। ফ্যাসিবাদী সময়ে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে যারা সমাজ-তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, তরুণ প্রজন্ম ও শিশু-কিশোররা আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমরা তাদের যেভাবে গড়ে তুলব তারা ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে এবং আমরা সে রকমই একটি বাংলাদেশ পাব। 

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের মাদক থেকে দূরে সরিয়ে খেলাধুলা এবং বিভিন্ন শিক্ষা সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন উপজেলা শাখার সমন্বয়ক উবায়দুল সিদ্দিকী।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি