চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ফেরি কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহন কারণে আজ শুক্রবার সকালে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যায় ফেরি কপোতাক্ষ। এদিকে সন্দ্বীপমুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে সীতাকুণ্ডের কুমিরা নৌঘাটেও। টিকিট কাটার পর স্পিডবোটে উঠতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

বাঁশবাড়িয়া ঘাটে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেরিতে করে সন্দ্বীপে যেতে রাত থেকে ঘাটে ভিড়তে থাকে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী বিভিন্ন যানবাহন। ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টায় ফেরি ছাড়ার কথা। এ জন্য সকাল ছয়টার দিকে ফেরিতে গাড়ি ওঠানো শুরু হয়। তবে প্রতিযোগিতা করে গাড়ি নিয়ে ফেরিতে উঠতে গিয়ে চালকদের মধ্যে হট্টগোল তৈরি হয়। এ পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ছাড়তে হয় ফেরিটি। ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে পা ফেলার জায়গা ছিল না।

সকালে ফেরিটিতে করে সন্দ্বীপে গেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকাল সাতটায় ঘাটে গিয়ে দেখি, পা ফেলার জায়গা নেই। অনেক যাত্রীবাহী বাস ফেরিতে জায়গা পায়নি। দ্বিতীয় ট্রিপেও কিছু বাস যেতে পারবে না দেখে যাত্রীরা টিকিট কেটে ফেরিতে উঠে যান।’

পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে ফেরিটিতে করে সন্দ্বীপে যাচ্ছিলেন একটি তৈরি পোশাক কারখানার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন স্বপন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থেকে সন্দ্বীপের এনাম নাহারে যাওয়ার জন্য যাত্রীবাহী বাসে উঠেছিলেন তিনি। ঘাটে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় তাঁদের বাসটি ফেরিতে উঠতে পারেনি। এ অবস্থায় তাঁরা টিকিট কেটে ফেরিতে উঠে গেছেন। ফেরির টিকিটের জন্য বাড়তি কিছু খরচ হলেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাওয়ায় তিনি খুশি।

জানতে চাইলে ফেরির মাস্টার শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ফেরিতে ওঠার র‍্যাম্প স্থান বিচ্যুত হওয়ার কারণে গাড়ি উঠতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন গাড়ির চালকদের মধ্যে ঝামেলার কারণে ফেরিতে গাড়ি উঠতে দেরি হয়েছে। তাই দেড় ঘণ্টা দেরিতে ফেরি ছাড়তে হয়েছে। আজ প্রথম ট্রিপে ৪টি বাস, ২টি ট্রাক, ২৪টি প্রাইভেট কার, ৩৬টি মোটরসাইকেল ও দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে ফেরি ছেড়েছে।

স্পিডবোটের জন্য দীর্ঘ সারি

ফেরিঘাটে মানুষের অপেক্ষা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’

কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।

সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।

নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত

সম্পর্কিত নিবন্ধ