দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো পবিত্র রমজান মাস। আর কয়েক দিন পরেই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পরিবার ও স্বজনদের কাছে ছুটছে মানুষ। তাদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে তৎপর রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এ লক্ষ্যে নানা ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যাত্রী, চালক ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি দেলোয়ার হোসেন মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এবারের ঈদে ১ কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। অধিকাংশই সড়কপথে যাবেন। এজন্য আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।”

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়ক বা হাইওয়েতে ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলারের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফিডার রোডে চলতে পারবে থ্রি হুইলার। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কগুলো ৪ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। তিন শতাধিক চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মোটরসাইকেল পেট্রোলিং, ড্রোন মনিটরিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা হচ্ছে। খোলা ট্রাক ও ছাদে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। ওভারটেকিং এবং অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি না চালাতেও বলা হয়েছে। চালকদের ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন চালকদের দিয়ে গাড়ি না চালাতে পরিবহন মালিকদের বলা হয়েছে।

ঢাকা/এমআর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদয ত র হ ইওয

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ