আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি নবীগঞ্জের কাপড়ের বাজারে। ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড় ব্যবসায় মন্দাভাব। মাত্র দিন দু’এক পরেই ঈদ। তাতে নবীগঞ্জের বিভিন্ন বিপণিবিতানে পোশাক ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বাড়লেও বেচাকেনা সেভাবে হচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল থান কাপড় ও থ্রিপিস ব্যবসায়ীদের। এবারের ঈদে থান কাপড়ের দোকানগুলোর বেশির ভাগই ক্রেতাশূন্য। ফলে ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে কাপড়ের দোকানগুলোতে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কাপড় দেখে, দরদাম করলেও দামে মিলছে না অধিকাংশের। এতে আশানুরূপ কেনাবেচা হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, এ বছর ঈদকে সামনে রেখে অন্যবারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি কাপড় দোকানে তুলেছেন তারা। বিশেষ করে থান কাপড়ের ব্যবসায়ীরা রমজানের আগেই বেশি করে কাপড় কিনেছেন। কারণ, অন্যান্য কাপড়ের তুলনায় থান কাপড় আগে বিক্রি হয়। কিন্তু এবার বাজারে ক্রেতা কম। ১ রমজান থেকে ২০ রমজান এই সময়টায় বেশি কাপড় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও ২৭ রমজান চলে গেলেও এবার প্রত্যাশিত বিক্রি হচ্ছে না। সন্তোষজনক কেনাবেচা না হওয়ায় হতাশ কাপড় ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা জানান, ঈদের বাজারে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ এখনও বিদ্যমান। সাধারণ মানুষ অর্থসংকটে রয়েছেন। এ ছাড়া থান কাপড় কিনে পোশাক তৈরিতে সময় ও সেলাই খরচ বেশি হয়।
পশ্চিমবাজার এলাকার একটি শপিংমলের কর্মচারী আলাউর রহমান বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ক্রেতার বাজেট তো আর বাড়েনি। এ কারণে কেনাবেচা কম হচ্ছে। বাড়তি দাম দিয়ে থান কাপড় কিনতে হয়। গত রমজান থেকে এবার দেশি কাপড়ে গজপ্রতি প্রায় ১০ টাকা ও বিদেশি কাপড়ে ৪০ টাকা বেড়েছে। সব খরচ মিলিয়ে ব্যবসায়ীদের পোশাকের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
শহরের মধ্যে থান কাপড়সহ অন্য কাপড়ের ছোট ও মাঝারি দুটি দোকান আছে কাওসার আহমদের। তিনি জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। এভাবে চললে চাপের মুখে রয়ে যাবেন।
নবীগঞ্জ বাজার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ শোয়েব আহমদ চৌধুরী জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কেনাবেচা আশানুরূপ হচ্ছে না। তারা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত কেনাবেচা ভালো হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ র ক ন ক ট ব যবস য় দ র ব যবস য় র র ব যবস য় রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব