ঈদে আজও আগ্রহের কেন্দ্রে বাংলা সেমাই
Published: 28th, March 2025 GMT
সময়ের পরিক্রমায় বাজারে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত সেমাই থাকলেও চট্টগ্রামে বাংলা সেমাইয়ের কদর কমেনি আজও। ক’দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। বৃহৎ এই উৎসবে নতুন পোশাকের মতো আগ্রহ থাকে খাবারের প্রতিও। সেই স্থান দখল করেছে বাংলা সেমাই। কবে থেকে এই খাবারের প্রচলন, তা অজানা থাকলেও চট্টগ্রামে বাঙালির ঈদ উদযাপনে এখনও বেশির ভাগ পরিবারের মেন্যুতে স্থান করে নিয়েছে এটি।
ঈদ মৌসুমে বাংলা সেমাইয়ের কদর বেড়ে যায় বহু গুণ। তাই সেমাই তৈরিতে এখন দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগর ও শ্রমিকরা। চাঁদ রাত পর্যন্ত চলে সেমাই তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই, রাজাখালী, খাতুনগঞ্জ, মাদারবাড়ীসহ আরও কয়েকটি এলাকার কারখানায় পুরোদমে চলছে সেমাই তৈরি। অনেক কোম্পানি এসব কারখানায় উৎপাদিত সেমাই প্যাকেটজাত করে তা বাজারজাত করে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারখানায় তৈরি চিকন ও সাদা বাংলা সেমাই ১৫ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় চলে যায়। সেমাই তৈরির দৈনন্দিন আয় দিয়ে কয়েক হাজার পরিবার আর্থিক সচ্ছলতা লাভ করেছে।
চট্টগ্রামে প্রতিবছর বাংলা সেমাই তৈরির হিড়িক পড়ে যায়। সেমাই তৈরিতে যোগ দেন কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ীও। কারিগররা জানান, বাংলা সেমাই তৈরির উপকরণ হচ্ছে ময়দা ও পানি। আর লাচ্ছা সেমাই তৈরির উপকরণ ময়দা, পাম অয়েল ও ঘি। এখানকার তৈরি সেমাই খোলা ও প্যাকেটজাত হয়ে চলে যায় চট্টগ্রামের ছোট-বড় বাজারে। ঈদ এগিয়ে আসায় এখন দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগর ও শ্রমিকদের। কারখানার ভেতরে, ছাদে বা কোনো ভবনের ওপরে টানানো হয়েছে লম্বা বাঁশ। সেসব বাঁশের ওপরে রোদে শুকানো হচ্ছে সেমাই।
রাজাখালীর লামাবাজার কারখানার কারিগর কুতুব উদ্দিন বলেন, সারাবছরের তুলনায় ঈদে বাংলা সেমাইয়ের কদর বেড়ে যায় বহু গুণ। দূরদূরান্ত থেকে ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা কিনতে ছুটে আসেন। কারখানায় কয়েক হাজার মানুষের জীবিকা চলে।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি বাংলা সেমাই মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা। ক্যাবের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, বাংলা সেমাইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্য-সংস্কৃতি। প্রবীণদের বড় অংশ ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে খেয়ে যান বাংলা সেমাই। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের এমএন স্টোরের মালিক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ ব জ র
এছাড়াও পড়ুন:
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ
আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে, নইলে হোয়াইট হাউসের প্রেস অফিসের মূল অংশে সাংবাদিকেরা প্রবেশ করতে পারবেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গতকাল শুক্রবার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলেছে, ‘সংবেদনশীল উপকরণ’ সুরক্ষিত রাখতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ নিষেধাজ্ঞার অর্থ, এখন থেকে যেসব সাংবাদিকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকবে না, তাঁরা হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইংয়ের ‘আপার প্রেস’ নামে পরিচিত এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এ অংশে প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিটের কার্যালয় অবস্থিত।
নতুন এক চিঠিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের ‘লোয়ার প্রেস’ নামে পরিচিত এলাকায় প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। এটি হোয়াইট হাউসের ব্রিফিং কক্ষের পাশে অবস্থিত। এখানে জুনিয়র প্রেস কর্মকর্তারা কাজ করেন।এ সিদ্ধান্তের পক্ষে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক স্টিভেন চুয়াং বলেন, সাংবাদিকেরা ওই এলাকায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের হঠাৎ ঘিরে ধরেন এবং গোপনে ভিডিও-অডিও ধারণ করেন। যদিও তিনি তাঁর এ অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্দেশ জারি করা হচ্ছে যে প্রেস পাসধারীরা আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া ওভাল অফিসের পাশে অবস্থিত আপার প্রেসে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুনহোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি পদে ২৭ বছরের ক্যারোলিনকে বেছে নিলেন ট্রাম্প১৬ নভেম্বর ২০২৪চিঠিটি লেভিট ও চুয়াংকে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, এ পদক্ষেপের লক্ষ্য আপার প্রেসের সংবেদনশীল উপকরণ অননুমোদিত প্রকাশ থেকে রক্ষা করা।
তবে সাংবাদিকদের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নানা বিধিনিষেধ আরোপের ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং। এখানেই ‘আপার প্রেস’ অবস্থিত