Samakal:
2025-05-01@05:20:44 GMT

বড়সড় ধাক্কা খেল ‘সিকান্দার’

Published: 3rd, April 2025 GMT

বড়সড় ধাক্কা খেল ‘সিকান্দার’

কয়েক বছর ধরে সালমান খান অভিনীত সিনেমার বাজার পড়তির দিকে। মাঝখানে একই অবস্থা হয়েছিল শাহরুখ খানের। ২০২৩ সালে টানা তিন সুপারহিট সিনেমা দিয়ে প্রবলভাবে ফিরেছেন তিনি। সালমানের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। অবস্থা এতটাই খারাপ, সালমানের পেছনে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করতেও সাহস পাচ্ছেন না প্রযোজকেরা। এ কারণে নাকি অ্যাটলির সঙ্গে সালমানের সিনেমা আপাতত স্থগিত হয়েছে।

সে যা-ই হোক, এবার আসা যাক ‘সিকান্দার’ প্রসঙ্গে। ঈদ উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ মুক্তি পেয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’। বিগ বাজেটের এ সিনেমা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা বলিউড ভাইজানের ভক্তদের মধ্যে। অগ্রিম বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও নজির গড়েছিল সিনেমাটি। স্বাভাবিকভাবেই মেগা ওপেনিংয়ের অপেক্ষায় ছিল টিম সিকান্দার। কিন্তু মুক্তির আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল সিকান্দার টিম।

জানা গেছে, শনিবার গভীর রাতে সিনেমাটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। একটি-দুটি নয়, ৬০০টি ওয়েবসাইটে সিনেমাটি ফাঁস হয়েছে। টেলিগ্রামের একাধিক গ্রুপে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিকান্দারের ডাউনলোড লিঙ্ক। বিষয়টি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নাদিয়াদওয়ালা গ্র্যান্ডসন এন্টারটেইনমেন্ট।

সিকান্দার পরিচালনা করেছেন এ আর মুরুগাদোস। তাঁর পরিচালনায় এটি প্রথম কাজ সালমানের। আরেক প্রথম, এতে রাশমিকা মান্দানা প্রথমবারের মতো হয়েছেন সালমানের নায়িকা। চলুন এবারে জেনে নিই সিনেমায় কী আছে? 

‘টাইগার ৩’ সিনেমার প্রায় দু’বছর পর ফের ভাইজানকে বড়পর্দায় দেখার আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। সালমানের সিনেমায় আবার উপরি পাওনা ছিল রাশমিকা মন্দানার উপস্থিতি। প্রথমবার তাদের অনস্ক্রিন রোমান্সের জন্য উদগ্রীব ছিলেন অনুরাগীরা। পরিচালক এ আর মুরুগাদোস এক্কেবারে চেনা অ্যাকশন ছকে শুরু ছবি করেছেন। 

আকাশপথে মন্ত্রীর ছেলে প্রতীক বব্বরকে ‘সবক’ শেখানোর দৃশ্য দিয়ে পর্দায় আসেন সালমান। তারপরই আগমন রাজকোটের ‘রানী’ রাশমিকার। তিনি রাজকোটের শেষ রাজা সঞ্জয় রাজকোটের স্ত্রী। গল্পের এক এবং একমাত্র টুইস্ট রানীর মৃত্যু। এখান থেকে ঘুরে যায় গল্পের মোড়। রানী মৃত্য়ুর আগে ফুসফুস, হার্ট এবং চক্ষু দান করে গিয়েছিল। পত্নী বিয়োগের পর স্ত্রীকে ‘ফিরে পেতে’ সেই মানুষগুলোর সন্ধানে বেরিয়ে পড়ে ভেঙে পড়া ‘রাজা সাহেব’। তাতেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। গল্পের শেষে সিকান্দার শুধু রাজকোটের রাজা না, মানুষের মনেরও রাজা হয়ে ওঠে। 

সিকান্দার ছবির জমকালো ট্রেলার লঞ্চের সময়, সালমান খান আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, উৎসব হোক বা না হোক, তাঁর অনুগত ভক্তরা সবসময় নিশ্চিত করেন যে তাঁর ছবি ১০০ কোটির ব্যবসা ছাড়িয়ে যাবে এবং এবার এটি ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি এলেন। দেখলেন। মন জয়ও করলেন। শুধুই সালমান খান হিসেবে। কারণ তাঁর ছবির গল্প ভক্তদের মন জয় করতে ব্যর্থ। স্টারডম, পর্দায় লার্জার দ্যান লাইফ, মারকাটারি অ্যাকশন দেখতে দর্শকরা নিঃসন্দেহে ভালোবাসেন। কিন্তু ওই যে, আসল নায়ক তো ছবির গল্পই। সেখানে দুর্বল ‘সিকান্দার’।

শুধু সিনেমার কাহিনি নয়, দুর্বল ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং আরও অনেক কিছু নিয়ে দর্শক খুব হতাশ। সোশ্যাল মিডিয়া হতাশ ভক্তদের প্রতিক্রিয়ায় ভরে উঠেছে, যারা দাবি করছেন যে সিকান্দারে কোনো আকর্ষণীয় গল্প নেই।
কেউ কেউ এটিকে সালমানের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ ছবিও বলছেন। যদিও সালমান খানের তারকা শক্তি সবসময় দর্শকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে, এবার মনে হচ্ছে তাঁর সবচেয়ে অনুগত ভক্তরাও সিকান্দার ছবিতে তাঁর অভিনয়কে সমর্থন করতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই তাঁর অভিনয়ের সমালোচনা করেছেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া