হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি কমায় যে তিন ধরনের খাবার
Published: 3rd, April 2025 GMT
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কিছু দীর্ঘমেয়াদি ও জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে সবারই। হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি স্মৃতিভ্রমের মতো রোগও আছে এই তালিকায়। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কার কতটা বেশি, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে জীবনধারার ওপর। খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা, বিশ্রাম ও চাপমুক্ত জীবনযাপন এ কারণেই এতটা গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশোধিত (রিফাইনড) শস্য এবং প্রক্রিয়াজাত অন্যান্য খাবার, চর্বিজাতীয় খাবার, লাল মাংস প্রভৃতি খেলে দীর্ঘমেয়াদি এসব রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এসব খাবারের বদলে বরং ছোটবেলা থেকেই এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করা প্রয়োজন, যা খেলে ভবিষ্যতে এ ধরনের রোগের ঝুঁকি কমে। এমনটাই বলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালট্যান্ট ডা.
তাসনোভা মাহিন।
নানান ধরনের বীজে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। দীর্ঘ মেয়াদে শরীর সুস্থ রাখতে যেকোনো বীজ খেতে পারেন আপনি। মিষ্টিকুমড়ার বীজ, লাউয়ের বীজ, পুঁইয়ের দানা, চিয়া সিড, তিসি—নানান কিছু রাখতে পারেন আপনার খাদ্যতালিকায়। চিয়া সিড, তিসি, আখরোট ও অন্যান্য বাদামে পাবেন ভিটামিন ই এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের দেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহের ঝুঁকি কমায়। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে।
আরও পড়ুনহার্ট অ্যাটাকের ৬টি লক্ষণ এবং হার্ট অ্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন২৪ মার্চ ২০২৫ফলমূল, শাকসবজিরঙিন ফলমূল ও শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ। মিষ্টিকুমড়া, লালশাক, পালংশাক, কচুশাক, গাজর, পাকা আম, পাকা পেঁপে, পেয়ারা, তরমুজ, বিটরুট ইত্যাদিতে পাবেন প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। আম, জলপাই, লাল ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, পালংশাক, শর্ষেশাক প্রভৃতিতে আরও রয়েছে ভিটামিন ই। টক ফলে পাবেন ভিটামিন সি। তাই পেয়ারা, জলপাই, চালতা, লেবু, কমলা, কাঁচা আম প্রভৃতি ফল থেকে কোনো না কোনোটি খেতেই হবে রোজ। এই তিন ভিটামিনই অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই এসব খাবার খেলে আপনার নানান রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমবে। তবে মনে রাখবেন, তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফলের আচার খেলে ভিটামিন সি পাবেন না। ফলমূল ও শাকসবজিতে যে আঁশ থাকে, তা আবার রক্তের খারাপ চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে বহু রোগের ঝুঁকি কমে। যেসব ফলমূল বা সবজির খোসা খাওয়া সম্ভব, সেগুলো খোসাসমেত খাওয়ার চেষ্টা করুন। আলাদাভাবে সবজির খোসা দিয়েও কিছু মজাদার পদ তৈরি করা যায়। যেমন লাউ বা কুমড়ার খোসা অনায়াসেই ভিন্ন কোনো পদ তৈরিতে ব্যবহার করা সম্ভব।
আরও পড়ুনঅল্প বয়সেও কেন হার্ট অ্যাটাক হয়৩০ মার্চ ২০২৫স্বাস্থ্যকর তেলযে তেলে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই থাকে, তা গ্রহণ করা ভালো। সূর্যমুখী তেল, জলপাই তেল, রাইস ব্র্যান অয়েল স্বাস্থ্যকর। মাছের তেলও ভালো খাবার। তবে মাছের চর্বি স্বাস্থ্যকর নয়। তবে খুব বেশি বড় আকারের মাছগুলোর তেল কক্ষ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এ ধরনের তেল না খাওয়াই ভালো। যকৃতের তেলও এড়িয়ে চলুন।
রান্নার জন্য স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহারের খরচ বেশি বলে অনেকেই অবশ্য এসব তেল কিনতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন—
ডুবোতেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। কম তেলে খাবার রান্না করুন। যে তেল কক্ষ তাপমাত্রায় জমাট বেঁধে থাকে, সেই তেল গ্রহণ করবেন না। ডালডা, মারজারিন প্রভৃতি বর্জনীয়।
একবার ব্যবহার করা তেল আবার ব্যবহার করবেন না।
ভাজাপোড়া খাবারের বদলে কিছু সেদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। যেমন সবজি পাকোড়া না করে সবজির সালাদ করতে পারেন সামান্য জলপাই তেল আর কিছু স্বাস্থ্যকর মসলা দিয়ে। স্বাদ পাবেন, সুস্থও থাকবেন।
আরও পড়ুনকোলেস্টেরল কমাবেন কীভাবে?১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব স থ যকর ব যবহ র ধরন র জলপ ই
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় কোটি শ্রমিক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বাইরে
দেশের মোট শ্রমিকের ৮৪ দশমিক ১ শতাংশের কোনো দায়দায়িত্ব নেয় না রাষ্ট্র । শ্রমিক হিসেবে তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। কোনো রকম আইনি ও সামাজিক সুরক্ষা নেই। কর্মস্থলের পরিচয়পত্র নেই। কাজের ক্ষেত্রে অন্যায়ের শিকার হলে তাদের শ্রম আদালতে মামলা করার সুযোগও নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, অপ্রাতিষ্ঠানিক এই শ্রমিকের সংখ্যা ৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮০ হাজার।
বিশালসংখ্যক শ্রমিকের প্রতি রাষ্ট্রের এ রকম অবহেলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকারের গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গত ২১ এপ্রিল পেশ করা কমিশনের ২৫ সুপারিশের মধ্যে প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সব শ্রমিকের আইনি সুরক্ষা ও স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের শ্রম খাতের দুর্বলতা চিহ্নিত করা এবং শ্রমিকের অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত ১৯ সদস্যের কমিশনপ্রধান ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। জানতে চাইলে গতকাল তিনি সমকালকে বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। শ্রম আইনে অন্য সব শ্রমিকের মতো একই অধিকার এবং সুযোগসুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি ক্ষেত্রবিশেষে তাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছি। সামাজিক সুরক্ষার আওতায় তাদের জন্য ভাতার কথা বলেছি। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকের জন্য এ সুবিধার সুপারিশ করা হয়নি। কারণ, তারা চাকরি শেষে কমবেশি কিছু আর্থিক সুবিধা পান।’
কমিশনের এ সব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে নিয়মিত নজরদারি রাখার কথাও জানান তিনি।
এ বাস্তবতায় আজ বৃহস্পতিবার মহান শ্রমিক দিবস পালন করা হচ্ছে। আজ সরকারি ছুটি থাকবে। এ দিনও কাজ করতে হবে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দিবসটি পালনের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’।
বিবিএসের গত নভেম্বরে প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ১২ কোটি ৬ লাখ ২০ হাজার। তাদের মধ্যে শ্রমশক্তি ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার। মোট শ্রমশক্তির ৮৪ দশমিক ১ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে।
দেশে শ্রমশক্তি বলতে ১৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে যারা কর্মে নিয়োজিত এবং বেকার জনগোষ্ঠীর সমষ্টিকে বোঝায়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা–আইএলওর মানদণ্ড অনুযায়ী, যারা সাত দিনে কমপক্ষে ১ ঘণ্টার বেতন, মজুরি বা মুনাফার বিনিময় অথবা পরিবারের নিজস্ব ভোগের জন্য পণ্য উৎপাদনের কাজ করেছেন জরিপে তাদের কর্মে নিয়োজিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আবার যারা কর্মক্ষম কিন্তু কোনো কাজে নিয়োজিত নন, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ খুঁজে বেড়ান এবং ওই সময়ে কাজের সুযোগ পেলে সে কাজ করতে প্রস্তুত তাদের বেকার বলা হয়েছে। এ হিসাবে দেশে বেকারের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬০ হাজার।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক কারা
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা–আইএলওর আন্তর্জাতিক শ্রম পরিসংখ্যানবিদের সম্মেলন ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব লেবার স্ট্যাটিসিয়ান্স–আইসিএলসির সংজ্ঞা অনুযায়ী, বেসরকারি অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি বা খানামালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, যেগুলোর আইনি সত্তা নেই, পরিপূর্ণ হিসাব নেই, উৎপাদনের হিসাব দিতে হয় না এবং বেসরকারি ও অনিবন্ধিত–এরকম খাতকে অনানুষ্ঠানিক খাত এবং এ খাতের শ্রমিকদের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিক বলা হয়।
মূলত কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক বেশি। কৃষিতে ৯৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক। শিল্প খাতে ৮২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের বড় অংশই গ্রামে থাকেন।
বিবিএস বলছে, গ্রামের মোট শ্রমিকের ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। সংখ্যায় তারা ৪ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার। শহরের শ্রমিকদের এ হার কিছুটা কম। ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ। সংখ্যায় এক কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার। নারী শ্রমিকদের ৯৫ দশমিক ৭ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে থাকেন।
শ্রম আইনে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকেও অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ কমিশনের
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক, কৃষি, গৃহশ্রমিক, অভিবাসী, স্বনিয়োজিত শ্রমিকসহ সব শ্রমিকের জন্য শ্রম আইনে সুরক্ষা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে শ্রমিকদের কাজের স্বীকৃতি, পরিচয়পত্র, নিরবচ্ছিন্ন কাজ এবং আয়ের নিশ্চয়তা, মর্যাদাকর শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, এসব শ্রমিকের জন্য রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সব অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলাদা অফিস অথবা ডেস্ক স্থাপন করতে হবে। শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং কল্যাণে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের সব ধরনের তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার করা, পরিচয়পত্র দেওয়া এবং অবসর ভাতা চালুসহ বেশ কিছু সুপারিশ করে কমিশন।
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রবীণ শ্রমিকদের জন্য অসরকালীন ভাতার সুপারিশ
রাষ্ট্রের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের আওতায় বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা। অবসরের পরও কিছু সুবিধা পান তারা। তবে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা সারা জীবন খাটুনির পর প্রবীণ বয়সে আরও কষ্টে থাকেন। কারণ সামান্যতম কোনো সুবিধা পান না তারা। এ বিবেচনা থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য অসরকালীন ভাতা বা তাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিশন। তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর নির্ধারণের কথা বলা হয় এতে। দরিদ্র বেকার শ্রমিকদের বয়স্কভাতা এবং তাদের প্রতিদিনের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও অন্যান্য চাহিদা বিবেচনায় বয়স্কভাতার পরিমাণ নির্ধারণের কথা বলেছে কমিশন। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের পেশা ও খাত অনুযায়ী সংগঠিত হওয়া, প্রতিনিধিত্ব করা ও নিয়োগকারী, তাদের সমিতি করার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলা হয় কমিশনের সুপারিশে।
প্রাতিষ্ঠানিকের ৫৫ খাতেও ন্যূনতম মজুরি নেই
অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয়। এখনও অনেক শিল্প খাতকে ন্যূনতম মজুরি কাঠামোর আওতায় আনা হয়নি। মালিকপক্ষ যা দেয়, তা মেনে নিয়ে কাজ করেন শ্রমিকরা। এরকম অন্তত ৫৫টি খাতে ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়নি।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশের স্বীকৃত শিল্প আছে ১০২টি।
টাইপ ফাউন্ড্রি শিল্পের মজুরি বোর্ড হয় সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে। অর্থাৎ, গত তিন যুগ ধরে একই মজুরি চলছে এ খাতে। জানতে চাইলে সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সচিব রাইসা ইসলাম গতকাল সমকালকে বলেন, ন্যূনতম মজুরি কাঠামোতে বর্তমানে ৪৭টি শিল্প রয়েছে। নতুন করে দুটি শিল্পকে ন্যূনতম মজুরির আওতায় আনা হবে। আরও ২০ শিল্পকে এর আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি জানান, পেট্রোল পাম্পের শ্রমিকদের মজুরি পুনঃনির্ধারণে বোর্ড গঠন হয়েছে। মালিক পক্ষ এ-সংক্রান্ত সভায় আসছে না। এ অবস্থায় করণীয় জানতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়েছে মজুরি বোর্ড।
টাইপ ফাউন্ড্রি শিল্পে তিন যুগ ধরে একই মজুরির বিষয়ে জানতে চাইলে রাইসা ইসলাম বলেন, টাইপ ফাউন্ড্রি শিল্পের আর অস্তিত্ব নেই। খাতটি হয়তো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হবে।