Prothomalo:
2025-06-16@08:20:29 GMT

অবহেলায় পড়ে ছিল দামি পাথর

Published: 4th, April 2025 GMT

পাহাড়, সমুদ্র বা বনে বেড়াতে গেলে স্মারক হিসেবে রাখতে অনেকেই অনেক কিছু কুড়িয়ে নিয়ে আসেন। রোমানিয়ার এক নারী দেশটির দক্ষিণ–পূর্বের একটি জলপ্রপাত দেখতে গিয়ে সেখান থেকে কুড়িয়ে এনেছিলেন বেশ বড়সড় একখণ্ড পাথর।

এক দশকের বেশি সময় ধরে পাথরখণ্ডটি তাঁর বাড়িতে অবহেলায় পড়ে ছিল। বাতাসের ঝাপটায় বাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া আটকাতে সেটি ‘ডোরস্টপ’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কে জানত এটি কোনো সাধারণ পাথর নয়, রীতিমতো অ্যাম্বার (রত্নপাথর)।

অ্যাম্বার হলো জীবাশ্ম গাছের রেজিন। এটি তৈরি হতে কোটি কোটি বছর লেগে যায়। দারুণ উষ্ণ রঙের কারণে এগুলো রত্নপাথর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। রোমানিয়ার কোল্টি এলাকায় অ্যাম্বার পাওয়া যায়। ১৯২০ সাল থেকে সেখানে অ্যাম্বার উত্তোলন করা হয়।

রোমানিয়ার ওই নারী যে পাথরটি খুঁজে পেয়েছেন, সেটি উজ্জ্বল লালচে রঙের। স্প্যানিশ পত্রিকা এল পাইস–এর খবর অনুযায়ী, পরীক্ষা–নিরীক্ষার জন্য কর্তৃপক্ষ পোল্যান্ডের ইতিহাস জাদুঘরের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাথরটি পাঠিয়েছিল।

সেটি পাঠানোর পরপরই পোলিশ–বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন, সেটি কোনো সাধারণ পাথর নয়। সেটি একটি অ্যাম্বার পাথর। এটি তৈরি হতে ৩ কোটি ৮৫ লাখ বছর থেকে ৭ কোটি বছর লেগেছে।

রোমানিয়ার বুজু শহরের প্রাদেশিক জাদুঘরের পরিচালক দানিয়েল কোস্তাচে বলেন, বৈজ্ঞানিক ও জাদুঘর বিবেচনায় এই পাথর খুঁজে পাওয়া বিশাল বড় আবিষ্কার।

বুজুর এই জাদুঘরেই এখন বিশাল ওই অ্যাম্বার পাথর রাখা আছে। পাথরটির ওজন প্রায় সাড়ে তিন কিলোগ্রাম (৭ দশমিক ৭ পাউন্ড)। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটি বিশ্বে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে বড় দামি পাথরগুলোর একটি; আর অ্যাম্বারের মধ্যে সবচেয়ে বড়। অথচ পাথরটি বছরের পর বছর অবহেলায় পড়ে ছিল, রত্নচোরদের চোখ এড়িয়ে ডোরস্টপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।

যে নারী ওই পাথর কুড়িয়ে এনেছিলেন, তিনি ১৯৯১ সালে মারা যান। পরে তাঁর আত্মীয়রা পাথরটির মূল্য বুঝতে পারেন এবং রোমানিয়া সরকারের কাছে বিক্রি করে দেন। পাথরটির বাজারমূল্য প্রায় ১১ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেশি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ দ ঘর

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডন বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: মঈন খান

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে আবদুল মঈন খান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আজকের বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে- তার প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের জিওপলিটিক্যাল অবস্থান ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ হচ্ছে গণতন্ত্রের সূতিকাগার। ওরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাইবে না তো, কে চাইবে? এখানে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না।

নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনারা তো জানেন, আমাদের কথা এখন একটাই। বাংলাদেশের মানুষের যে ইচ্ছার প্রতিফলন, দেশের নতুন প্রজন্ম, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। দেশের কোটি কোটি মানুষ, ১২ কোটি ভোটার বলা হচ্ছে- তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ। ভোটের ব্যাপারে যখন নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, বলা হয় যে- নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো দেশের মানুষ উচ্ছ্বাস হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ