‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা’ তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ
Published: 11th, July 2025 GMT
মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশিদের বিষয়ে তদন্তে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ।
শুক্রবার কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তথ্য ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে অভিযোগের তদন্তে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহযোগিতা সহজতর করার আশ্বাস দেন।
এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে বাংলাদেশে চলমান সংস্কার, রোহিঙ্গা সংকট, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরের সহায়তা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স, শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন ভিজিথা হেরাথ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস মিনিস্টার ও প্রতিনিধি দলের প্রধান পার্ক ইউনজোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ ২০০৬ সালে এআরএফের সদস্য হয়। এআরএফ নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত একটি ফোরাম, যা বৃহত্তর এশিয়া-প্যাসিফিকের ২৭টি সদস্য দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য কাজ করে। বর্তমানে বাংলাদেশ এআরএফের দুটি অগ্রাধিকার ‘সন্ত্রাসবাদ দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ’ এবং ‘দুর্যোগ ও ত্রাণ’ বিষয়ে সহসভাপতিত্ব করছে।
শুক্রবার বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। তিনি সদস্য দেশগুলোর প্রতি রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আসিয়ান সদস্যদের প্রতি বাংলাদেশের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আবেদনকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফরহাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এআরএফ মন্ত্রী পর্যায়ের পরবর্তী বৈঠক ২০২৬ সালে ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট রমন ত র পরর ষ ট র উপদ ষ ট র পরর ষ ট র মন ত র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
বিএআরএফের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ফল উৎসব পালন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বিএআরএফের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজমের সঞ্চালনায় উৎসবে বক্তব্য দেন সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মাসউদুল হক, বিএআরএফের সহসভাপতি চপল মাহমুদ, যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন, অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, সংবাদমাধ্যম কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কোনো কোনো সময় নেতিবাচক সংবাদ কৃষিপণ্যের গ্রাহকদের মধ্যে এমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা উৎপাদন এবং এর সঙ্গে জড়িত কৃষকদের জন্য ক্ষতিকর হয়। একজন সংবাদকর্মী তার দায়িত্ববোধের জায়গা থেকেই এসব বিষয়ে সতর্ক থেকে সংবাদ পরিবেশন করবে বলে প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে হবে। সাংবাদিকদের ডাকে সাড়া দিতে হবে। অনেককে দিনের পর দিন ফোন করলে বা সাক্ষাৎ চাইলে দিতে চায় না। আবার অনেকেই তথ্য দিতে চায় না। এতে করে সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য না পেয়ে বি়ভ্রান্ত হতে পারে। পরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে সেটার ক্ষতি পোষাতে যোগাযোগ করে। এসব না করে শুরু থেকেই তথ্য দিতে হবে। সাংবাদিকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।