‘গ্রেনেড বাবুর’ বাড়িতে অভিযানে আটক বাবা-ভাইসহ ৩ জন, ৩৮ লাখ টাকা ও অস্ত্র উদ্ধার
Published: 4th, April 2025 GMT
খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে আজ শুক্রবার অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে তার ভাই ও বাবাসহ তিনজনকে অস্ত্র এবং মাদক বিক্রির ৩৮ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়েছে। তবে গ্রেনেড বাবুকে পাওয়া যায়নি।
আটককৃতরা হলেন- গ্রেনেড বাবুর ভাই মো.
শুক্রবার বিকেলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ বাহিনী শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরীর শামসুর রহমান রোডে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। রাত ১টা থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে গ্রেনেড বাবুর ভাই সন্ত্রাসী রাব্বি চৌধুরীকে ৪ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি চাপাতি, ১টি বাইনোকুলার, ১টি মোটরসাইকেল এবং ১টি মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়। এ সময় গ্রেনেড বাবুর বাবা জোনায়েদ চৌধুরী মিন্টুকে ১২ লাখ ১২ হাজার টাকা ও ১টি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে নৌ বাহিনীর একটি দল অংশ নেয়। যৌথ বাহিনী একই সড়কে সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ম্যানেজার সৌরভ ও সোহাগের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় সৌরভের মা সুষমা রানী সাহাকে আটক করা হয়। ওই বাড়ি থেকে মাদক বিক্রির ২৬ লাখ ৪ হাজার ৫৫৩ টাকা, ভারতীয় মুদ্রা ৪ হাজার ২৪০ রুপি এবং ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
তিনি আরও জানান, আটক রাব্বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে অভিযানে গ্রেনেড বাবু, সৌরভ ও সোহাগকে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, নগরীর বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন কচি হত্যা মামলায় ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ গ্রেনেড বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১০ সালের ১০ জুন ট্যাংক রোডের বাসিন্দা কচিকে শামসুর রহমান রোডে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ য ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৬৮ আফ্রিকান অভিবাসী নিহত: হুতি
হুতি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি আটককেন্দ্রে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৬৮ জন আফ্রিকান অভিবাসী নিহত হয়েছেন বলে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির টিভি চ্যানেল আল মাসিরাহ জানিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
আল মাসিরাহর বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাদা প্রদেশে অবস্থিত ওই আটককেন্দ্রে হামলার ফলে আরও ৪৭ জন অভিবাসী আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগের অবস্থা সংকটজনক। আল মাসিরাহ টেলিভিশন হামলার দৃশ্যের গ্রাফিক ফুটেজ প্রচার করেছে, যেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা বহু মরদেহ দেখা গেছে।
তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
এই হামলার কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৫ মার্চ হুতিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করার নির্দেশের পর থেকে তারা ৮০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
সেন্টকম জানায়, এসব হামলায় শত শত হুতি যোদ্ধা এবং অসংখ্য হুতি নেতা নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
হুতির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, মার্কিন হামলায় অনেক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যদিও তারা হুতি সদস্যদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম উল্লেখ করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, হামলার সময় সাদা প্রদেশের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে ১১৫ জন আফ্রিকান অভিবাসী ছিল।
১১ বছরের সংঘাতের কারণে ইয়েমেনে মানবিক সংকট সত্ত্বেও, অভিবাসীরা এখনও আফ্রিকার হর্ন অঞ্চল থেকে নৌকায় করে ইয়েমেনে আসছে। তাদের বেশিরভাগের লক্ষ্য সৌদি আরবে পৌঁছে কাজ খোঁজা। কিন্তু বাস্তবে তারা শোষণ, আটক, সহিংসতা এবং যুদ্ধক্ষেত্র পেরিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার মুখোমুখি হয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আইওএম আরও জানিয়েছে, শুধু ২০২৪ সালেই প্রায় ৬০ হাজার ৯০০ অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছে, যাদের অধিকাংশের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই।
এর আগে মাসের শুরুতে হুতি-চালিত সরকার জানিয়েছিল, রেড সি উপকূলের রাস ইসা তেল টার্মিনালে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ৭৪ জন নিহত এবং ১৭১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, সেন্টকম জানায়, ওই হামলা রাস ইসার জ্বালানি গ্রহণের সক্ষমতা ধ্বংস করেছে, যা হুতিদের পরিচালনা এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতাকে হ্রাস করবে।
গত মাসে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক হামলার নির্দেশ দেন এবং হুতিদের সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করার হুমকি দেন। তিনি ইরানকেও সতর্ক করেন, যাতে তারা হুতিদের অস্ত্র সরবরাহ না করে। যদিও ইরান বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।