খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুর বাড়িতে আজ শুক্রবার অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে তার ভাই ও বাবাসহ তিনজনকে অস্ত্র এবং মাদক বিক্রির ৩৮ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়েছে। তবে গ্রেনেড বাবুকে পাওয়া যায়নি। 

আটককৃতরা হলেন- গ্রেনেড বাবুর ভাই মো.

রাব্বি চৌধুরী, বাবা মো. জুনায়েদ চৌধুরী মিন্টু ও সহযোগী সৌরভের মা সুষমা রানী সাহা। 

শুক্রবার বিকেলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ বাহিনী শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুকে গ্রেপ্তারের জন্য নগরীর শামসুর রহমান রোডে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। রাত ১টা থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে গ্রেনেড বাবুর ভাই সন্ত্রাসী রাব্বি চৌধুরীকে ৪ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি চাপাতি, ১টি বাইনোকুলার, ১টি মোটরসাইকেল এবং ১টি মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়। এ সময় গ্রেনেড বাবুর বাবা জোনায়েদ চৌধুরী মিন্টুকে ১২ লাখ ১২ হাজার টাকা ও ১টি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। অভিযানের একপর্যায়ে নৌ বাহিনীর একটি দল অংশ নেয়। যৌথ বাহিনী একই সড়কে সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ম্যানেজার সৌরভ ও সোহাগের বাসায় অভিযান চালায়। এ সময় সৌরভের মা সুষমা রানী সাহাকে আটক করা হয়। ওই বাড়ি থেকে মাদক বিক্রির ২৬ লাখ ৪ হাজার ৫৫৩ টাকা, ভারতীয় মুদ্রা ৪ হাজার ২৪০ রুপি এবং ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।

তিনি আরও জানান, আটক রাব্বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় ৩টি মামলা রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে অভিযানে গ্রেনেড বাবু, সৌরভ ও সোহাগকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, নগরীর বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন কচি হত্যা মামলায় ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ গ্রেনেড বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১০ সালের ১০ জুন ট্যাংক রোডের বাসিন্দা কচিকে শামসুর রহমান রোডে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক