চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বাক্‌প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা সালিশে রফা করে দিয়েছেন স্থানীয় সমাজপতিরা। এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠা মো. আজিজকে (৫৫) ১০ বার কান ধরে উঠবস করানো হয়। এ ছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও সমাজচ্যুত করা হয়। এমন একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চরতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রামে বাড়িতে ঢুকে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় আজিজ। বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকেলে সালিশে বসেন এলাকার সমাজপতিরা। সেখানেই মীমাংসার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। 

ভুক্তভোগী বাক্‌প্রতিবন্ধী নারীর বড় ভাই জানান, ঘটনার দিন রাতে তারা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে আজিজ বাড়িতে ঢুকে তাঁর বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ধস্তাধস্তি টের পেয়ে তাঁর ছোট ভাই ও প্রতিবেশীরা এসে আজিজকে আটক করেন। পরে কৌশলে সে পালিয়ে যায়। পরদিন স্থানীয় সমাজপতিরা সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে কান ধরে উঠবস করানো, জরিমানা ও সমাজ থেকে বহিষ্কার করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। জরিমানার ২০ হাজার টাকা তাদের দিতে চাইলেও তারা তা গ্রহণ করেননি। 

তিনি আরও জানান, আগেও বেশ কয়েকবার আজিজ তাঁর বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। একবার তাকে হাতেনাতে ধরতে পারেননি। আরেকবার পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া দিয়ে আজিজকে পাশের একটি বিল থেকে আটক করা হয়। তখন আজিজের সঙ্গে ঝগড়া ও মারামারি হয়েছিল। বিষয়টি তার স্ত্রী ও পরিবারকে জানানো হয়েছিল।

চরতী ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল আমিনও সালিশে অংশ নেন। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি আবদুল মন্নান, জামাল উদ্দিন, মোরশেদুল আলম টিপু, নুরুল আলম সওদাগর ও  আলী নবী লেদুদের নিয়ে সালিশে বসি। সেখানেই বিষয়টির সমাধান করা হয়।’
তিনি বলেন, আজিজকে ধর্ষণচেষ্টার শাস্তি হিসেবে ১০ বার কান ধরে উঠবস করানো হয়। মাটিতে সেজদা দেওয়ানোর পর ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে তাকে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। 

সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ