সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান পার্বত্য উপদেষ্টার
Published: 5th, April 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সম্প্রীতি বজায় রাখুন। সবাই একসাথে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই। কে মারমা, কে ত্রিপুরা, কে বম জাতি, সে বিভেদ না করি; সবাই মানুষ, এটাকে ধারণ করে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করা দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো— সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমাদের সকলকে বন্ধুত্বপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলকভাবে সকল প্রকার সমস্যার সমাধানে ভারসাম্যপূর্ণ এবং সম্মতিপূর্ণভাবে একসাথে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা পার্বত্য অঞ্চলে কোয়ালিটি এডুকেশন, লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশসহায়ক ও সুরক্ষামূলক বৃক্ষ ও বনায়ন অর্থাৎ ব্যালেন্সড এনভায়রনমেন্ট এবং হারমোনিয়াস অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে চাই।
শনিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন উড়িয়ে বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। পরে তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
এরপরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত ও প্লাটিনাম জয়ন্তীর থিম সং পরিবেশন, শপথবাক্য পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন অতিথিরা।
এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, বান্দরবান সেনা জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার মো.
নবীন-প্রবীণের এই মিলনমেলায় দিনব্যাপী শিক্ষক ও গুণীজনদের সম্মাননা, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, অ্যালামনাই কমিটি ঘোষণা, র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন স উপদ ষ ট পর ব শ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।