অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, সম্প্রীতি বজায় রাখুন। সবাই একসাথে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই। কে মারমা, কে ত্রিপুরা, কে বম জাতি, সে বিভেদ না করি; সবাই মানুষ, এটাকে ধারণ করে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করা দরকার।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো— সাধারণ জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা।

শনিবার (৫ এপ্রিল) বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমাদের সকলকে বন্ধুত্বপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলকভাবে সকল প্রকার সমস্যার সমাধানে ভারসাম্যপূর্ণ এবং সম্মতিপূর্ণভাবে একসাথে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা পার্বত্য অঞ্চলে কোয়ালিটি এডুকেশন, লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশসহায়ক ও সুরক্ষামূলক বৃক্ষ ও বনায়ন অর্থাৎ ব্যালেন্সড এনভায়রনমেন্ট এবং হারমোনিয়াস অ্যাপ্রোচ গড়ে তুলতে চাই।

শনিবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন উড়িয়ে বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছরপূর্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। পরে তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।

এরপরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত ও প্লাটিনাম জয়ন্তীর থিম সং পরিবেশন, শপথবাক্য পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন অতিথিরা।

এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থানজামা লুসাই, এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, বান্দরবান সেনা জোনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান, পুলিশ সুপার মো.

শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মঞ্জুরুল হক, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবুল কালাম, প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক লিটন, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন তুষারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বান্দরবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমানে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নবীন-প্রবীণের এই মিলনমেলায় দিনব্যাপী শিক্ষক ও গুণীজনদের সম্মাননা, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, অ্যালামনাই কমিটি ঘোষণা, র‌্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণসহ নানা আয়োজন রয়েছে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন স উপদ ষ ট পর ব শ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ