এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জংলি’ সিনেমাটি দর্শকদের মাঝে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। সিনেমাটিতে অভিনেতা সিয়াম আহমেদের লুক দেখে অনেকেই তাকে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন।

এবার জানা গেলো সিনেমাটির রিমেক স্বত্ব অর্জনে আগ্রহ দেখিয়েছে মালয়ালাম এবং তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি। সমকালকে এমনটাই জানিয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক ও টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি।
 
তিনি জানান, দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রির একটি প্রডাকশন হাউস ‘জংলি’ সিনেমাটির রিমেক স্বত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তিসংক্রান্ত সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন।

জাহিদ হাসান অভি বলেন, ‘আমাদের সিনেমাটির সম্পাদনা বাংলাদেশেই হয়েছে কিন্তু এর কালার গ্রেডিং করা হয়েছে ভারত থেকে। পোস্ট প্রডাকশনের সময় মালয়ালাম এবং তেলেগু ইন্ডাস্ট্রির প্রডাকশন হাউসের কর্তৃপক্ষ ‘জংলি’র রাফ কাট দেখেছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের সংবাদ। এর আগে আমাদের সিনেমার ডাবিং ভার্সন অন্যান্য দেশে গেলেও এবার তারা ডাবিং নয়, রিমেক রাইটস নিতে চাচ্ছে। এবারই প্রথম কোনো বাংলাদেশি সিনেমার ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এরপর সেই প্রডাকশন হাউস থেকে শুরু করে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারব।’

এম রাহিম পরিচালিত ‘জংলি’ সিনেমায় সিয়াম আহমেদ ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম এবং রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ ঈদ র স ন ম ইন ড স ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন

দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে চীনের কোস্টগার্ড দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এ ঘটনা ফিলিপাইনের সঙ্গে দেশটির আঞ্চলিক বিরোধ আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিরোধপূর্ণ প্রবালপ্রাচীর স্যান্ডি কে-তে কালো পোশাক পরা কোস্টগার্ডের চার কর্মকর্তাকে চীনের জাতীয় পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এপ্রিলের শুরুর দিকে চীন ওই প্রবালপ্রাচীরে ‘সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করেছে’, সিসিটিভি এমনটাই জানিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কিছু দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের পাল্টাপাল্টি দাবি আছে।

এ ঘটনার পর রোববার ফিলিপাইন তিনটি বালুচরে নামার কথা জানায় এবং চীনের ছবির অনুকরণে তাদের কর্মকর্তারাও একটি প্রবালপ্রাচীরে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছে এমন একটি ছবি প্রকাশ করে। অবশ্য ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী যেসব বালুচরে নেমেছে, তার মধ্যে কোনোটি স্যান্ডি কে কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি জানায়, তারা একটি বালুচর থেকে এক হাজার গজ দূরে চীনা কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এবং আরও সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযানের ‘অবৈধ উপস্থিতি’ দেখতে পেয়েছিল।

পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে দেশের সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার ও কর্তৃত্ব রক্ষায় ফিলিপাইন সরকারের অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ এই অভিযান,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

রোববারই পরে এক বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ড জানায়, তারা তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে ৬ ফিলিপিনোর ‘অবৈধভাবে নামার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে’। স্যান্ডি কে চীনে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীর নামে পরিচিত।

চীনের দিক থেকে সতর্কবার্তা ও নিরুৎসাহিত করার পরও ফিলিপাইনের ছয়জন অবৈধভাবে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে নামে। চীনের কোস্টগার্ড সদস্যরা এরপর ওই প্রবালপ্রাচীরে নামে এবং তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লিউ দেজুন এমনটাই বলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন