এনসিপির উপদেষ্টা পরিচয়ে হঠাৎ সরব সেই হান্নান
Published: 6th, April 2025 GMT
গত সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনে ছালাউদ্দিন ছালুর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আবদুল হান্নান সিকদার। পেশায় ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি তখন উড়ে এসে জুড়ে বসেছিলেন বলে দাবি দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীর। এখন গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপদেষ্টা পরিচয়ে নতুন তৎপরতা শুরু করেছেন সেই হান্নান।
জানা গেছে, আবদুল হান্নানের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের দিনার গ্রামে। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। গত সংসদ নির্বাচনে এনপিপির প্রার্থী হয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। এবারের ঈদ উৎসবে চরকাউয়া এলাকায় এনসিপির উপদেষ্টা পরিচয়ে ফেস্টুন বানিয়ে নতুন পরিচয়ের জানান দেন। ফেস্টুনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের স্মরণে ঈদের দু’দিন পর দিনারের পুল এলাকায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন তিনি। এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আসাদ বিন রণি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল মহানগর আহ্বায়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সংগঠক শহিদুল ইসলাম শাহেদ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অতিথি ছিলেন।
তবে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা.
হান্নানের এসব তৎপরতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ফুটবল ম্যাচের আগের রাতে তাঁকে ফোন করে হান্নান আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি তাঁকে চেনেন না এবং তাঁর সম্পর্কে কিছু জানেনও না। এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন কিনা, তাও জানেন না। উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে ফেস্টুন করার বিষয়টি তিনিও শুনেছেন বলে জানান। ডা. মিতু বলেন, এনসিপির জেলা
কমিটি হয়নি। প্রতিষ্ঠার পর কেন্দ্রে নতুন করে কাউকে উপদেষ্টা করা হয়নি। প্রীতি ফুটবল ম্যাচে দলের যারা ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছেন, তারা হয়তো না জেনে গিয়েছেন।
ফুটবল ম্যাচের অতিথি এনসিপির সংগঠক আসাদ বিন রণির কাছে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। অংশগ্রহণকারী আরেকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগর আহ্বায়ক শাহেদ জানান, আমন্ত্রিত হয়ে তারা ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। আবদুল হান্নান এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন কিনা, তা তারা জানেন না। এ নেতা নিশ্চিত করেন, রণির বাড়ি চরকাউয়ার পাশের ইউনিয়ন চরমোনাইতে।
চরকাউয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রেমন শরীফ জানান, হান্নান সিকদার স্থায়ীভাবে ঢাকায় থাকেন। বছরে দু-একবার এলাকায় যান। গত বছর এমপি প্রার্থী হয়ে কিছুদিন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। আগামীতে নতুন দলের এমপি প্রার্থী হতে পারেন বলে এলাকায় কানাঘুষা রয়েছে।
এসব মতবিরোধের বিষয়ে আবদুল হান্নান বলেন, গত ২৪ মার্চ রাজধানীতে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলে যোগ দিয়েছেন। আগের দল এনপিপি ত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, আমার ব্যবসায়ী বন্ধুরা বলেছেন, ছাত্ররা নতুন দল করেছে। তাদের বয়স কম, তাদের এগিয়ে নিতে মুরব্বির প্রয়োজন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও সুবিধাভোগী ছিলেন না বলে দাবি করেন তিনি।
হান্নান আরও জানান, গত নির্বাচনে প্রায় ৩০০ ভোট পেয়েছিলেন। ভোটাররা ভোট দিতে পারলে আরও বেশি পেতেন বলে দাবি করেন। আগামীতে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এসব বিষয়ে এখন ভাবছেন না।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-৫ আসনে দলটির সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন ডা. মিতু। হান্নানের তৎপরতায় দলটির স্থানীয় কর্মী-সমর্থকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
এনপিপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, হান্নান এনপিপির রাজনীতি করেননি। বিগত নির্বাচনে কীভাবে যেন মনোনয়ন বাগিয়েছেন। পরে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হন। ক্ষুব্ধ এনপিপির বরিশালের নেতাকর্মী তাঁর নির্বাচন করেননি। শুনেছি, নৌকার প্রার্থীর কাছে এজেন্ট বিক্রি করেছেন।
এনপিপির সভাপতি ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, হান্নান সিকদার ব্যবসায়ী। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ নিয়ে এমপি প্রার্থী হয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে বরিশালের নেতারা তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি নাকি এনসিপির উপদেষ্টা হয়েছেন। হান্নানও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা পদত্যাগ করেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প আবদ ল হ ন ন ন ফ টবল ম য চ উপদ ষ ট এনস প র এনপ প র ব যবস য় এল ক য় বর শ ল স গঠক
এছাড়াও পড়ুন:
কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ
তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?
সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’
এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’
আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫