কবে বিয়ে করবি, কবে বাচ্চা হবে, দেবের কাছে মায়ের প্রশ্ন
Published: 6th, April 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা অভিনেতা ও তৃণমূলের সংসদ সদস্য দেব। রাজনীতি ও চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে বিয়াল্লিশের দেব এখনো অবিবাহিত। যদিও চিত্রনায়িকা রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের খবর কারো অজানা নয়।
দেবের ভক্ত-অনুরাগীরাও চান তাদের প্রিয় অভিনেতা বিয়ে করুক। তাতে খুব একটা পাত্তা দেননি। কিন্তু বাড়িতে তার মা-বাবাও কী বিয়ের কথা বলেন? এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দেব।
শুধু এ প্রশ্নের উত্তরই দেননি, বরং মজার তথ্যও প্রকাশ করেছেন দেব। এ অভিনেতা বলেন, “মা প্রতিদিন বাড়িতে বলেন— বিয়ে করো, বিয়ে করো, কবে বাচ্চা হবে? বাচ্চা কবে বড় হবে। তুই বুড়ো হয়ে যাবি, তোর বাচ্চার বয়স যখন ১০ হবে, তোর তখন ৭০ হবে। এসব প্রতিদিন আমাকে শুনতে হয়।”
আরো পড়ুন:
সুদীপ-পৃথার অসম বিয়ে ভেঙে গেল
বাড়ি ফিরে এখনো কেঁদে ফেলি: ঋতুপর্ণা
দেবের তার হাত ধরে রুপালি জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে সবচেয়ে বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছে। চুটিয়ে প্রেম করছেন তারা। সুযোগ পেলেই এ জুটি উড়ে যান বিদেশে।
২০১৭ সালে ‘চ্যাম্প’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন রুক্মিণী। অভিষেক চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হন। তারপর ‘ককপিট’, ‘কবীর’, ‘কিডন্যাপ’, ‘পাসওয়ার্ড’, ‘ব্যোমকেশ ও দূর্গরহস্য’ প্রভৃতি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হন তারা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।