রাসুল (সা.) তাঁকে চাদর উপহার দিলেন
Published: 6th, April 2025 GMT
উম্মু খালিদ বিনতে খালিদ (রা.) ছিলেন খ্যাতিমান সাহাবি খালিদ ইবনে সাইদ ইবনুল আসের (রা.) মেয়ে। মক্কায় কুরাইশদের নিপীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে দ্বিতীয়বার মুসলিমদের যে-দলটি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন, তার মধ্যে খালিদও ছিলেন। হিজরতে তিনি তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নেন। সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন আমা বিনতে খালিদ; যিনি উম্মু খালিদ নামে পরিচিত।
খায়বার বিজয়ের পর আবিসিনিয়ায় যাওয়া মুসলিমরা মদিনায় চলে এলে খালিদ ইবনে সাঈদ (রা.
একদিন রাসুল (সা.)-কে কিছু কাপড় উপহার দেওয়া হলো। একটি ছিল নকশাদার কালো চাদর। তিনি সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই চাদরটি কাকে দেব?’ সাহাবিরা ভদ্রতাবশত কিছু বললেন না। রাসুল (সা.) বললেন, ‘উম্মু খালিদকে আমার কাছে নিয়ে এসো।’
আরও পড়ুনতওবা যেভাবে করা যায়১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রাসুলের (সা.) নির্দেশে একজন সাহাবি উম্মু খালিদকে নিয়ে এলেন। নকশাকাটা সুন্দর চাদরটি রাসুল (সা.) নিজ হাতে তাকে পরিয়ে দিলেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করলেন, ‘ব্যবহার করো এবং পুরোনো করো।’
আরবরা ‘ব্যবহার করো এবং পুরাতন করো’ বাক্যটি ‘দীর্ঘজীবী হও’ অর্থে ব্যবহার করে থাকে।
চাদরটি পরার পর রাসুল (সা.) একনজর দেখে নিলেন উম্মু খালিদকে কেমন মানিয়েছে। চাদরের নকশার দিকে তাকিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, ‘সানা, সানা ইয়া উম্মু খালিদ।’ অর্থাৎ, ‘সুন্দর, তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে উম্মে খালিদ।’
মজার ব্যাপার হলো, ‘সুন্দর’ বোঝাতে তিনি আরবি শব্দ ব্যবহার করেননি। তিনি বলতে পারতেন ‘জামিল’, বা ‘মা আজমালা’। বরং তিনি হাবশি শব্দ ব্যবহার করে বলেছেন, ‘সানা’। উম্মু খালিদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা আবিসিনিয়ায়, তাই তিনি সেখানকার ভাষা জানেন। রাসুল (সা.) তাঁর সঙ্গে সেই ভাষায় কথা বললেন, যে ভাষার সঙ্গে উম্মু খালিদ পরিচিত।
আরও পড়ুনঅর্থ বুঝে নামাজ পড়ার ফজিলত১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবিসিনিয়া থেকে ফেরার পথে নাজ্জাশি সবাইকে নৌকায় তুলে দেওয়ার পূর্বে বলেছিলেন, ‘আপনারা আমার সালাম রাসুলের কাছে পৌঁছে দেবেন।’ উম্মু খালিদ (রা.) সেই দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নাজ্জাশির সালাম পৌঁছে দেন রাসুলের (সা.) কাছে।
জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবি জুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.) আমা বিনতে খালিদ (রা.)-কে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ওমর ও খালিদ নামে দুই ছেলে। সেই থেকে আমা বিনতে খালিদ (রা.)-কে ডাকা হতো ‘উম্মু খালিদ’ বা খালিদের মা। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫,৮৪৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৪০২৪)
উম্মু খালিদ (রা.) ৯১ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন। নারী সাহাবিদের মধ্যে তিনি সর্বশেষ মৃত্যুবরণকারী সাহাবি। (ইবনে হাজার, আল-ইসাবা: ৮/৩৮৫)
আরও পড়ুনযে কারণে দোয়া ইউনুস পড়া হয় ০৯ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর স ন দর
এছাড়াও পড়ুন:
অজিতের পারিশ্রমিক ২৪১ কোটি টাকা!
ভারতের তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অজিত কুমার। ভক্তদের কাছে তিনি থালা অজিত নামেই পরিচিত। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল এটি। এরই মাঝে গুঞ্জন উড়ছে, পারিশ্রমিক বাড়াতে যাচ্ছেন অজিত।
পিঙ্কভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজিত কুমারের পরবর্তী সিনেমা ‘একে৬৪’। এখনো সিনেমাটির নাম চূড়ান্ত হয়নি। গুঞ্জন অনুযায়ী, এ সিনেমার জন্য অজিত কুমার তার পারিশ্রমিক ১৫০ কোটি রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০৭-২৪১ কোটি টাকার বেশি) করতে পারেন।
আরো পড়ুন:
মুক্তির আগেই কত টাকা আয় করল ‘কানতারা টু’?
আমি খুব কেঁদেছিলাম: মোহিনী
অজিত কুমার মনে করেন—‘সাধারণ গল্পের সিনেমাকেও রাজকীয়ভাবে উপস্থাপন করা উচিত।’ এই কারণে, সিনেমাটির বাজেট সম্ভবত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপির মধ্যে হতে পারে। তবে অজিতের টিমের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা নির্মাণ করেন পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন। ‘একে৬৪’ সিনেমাও তারই নির্মাণের কথা রয়েছে। রেসিং সিজনের বিরতিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ অজিত কুমার তখন তার সিনেমার দিকেই সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। শোনা যাচ্ছে, এই সিনেমা সব ধরণের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হবে, যেখানে ‘গুড ব্যাড আগলি’ কেবল অজিত ভক্তদের কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল।
ঢাকা/শান্ত