ফিল্ডিং বিশেষজ্ঞ জেমন প্যামেন্টকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তিনি চলতি মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের আগে দলে যোগ দেবেন।
প্যামেন্টের সঙ্গে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করেছে বিসিবি। তিনি এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তার মূল দায়িত্ব ছিল ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলানো।
প্যামেন্টের জন্ম ইংল্যান্ডে। তবে ৫৬ বছর বয়সী এই কোচ নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি নর্দান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে হেড কোচ হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের হাই পারফরম্যান্স দল, ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে টেকনিক্যাল এডভারজর হিসেবে কাজ করেছেন।
বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে প্যামেন্ট বলেন, ‘দারুণ প্রতিভাবান বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফের সঙ্গে যোগ দিতে মুখিয়ে আছি।’
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন নিক পোথাস। সাবেক প্রোটিয়া এই ব্যাটার দলের সহকারী কোচ ছিলেন। তবে মূল দায়িত্ব ছিল ফিল্ডিং কোচের।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ