মরক্কোর মারাকেশে অবস্থিত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিলাসবহুল হোটেল পেস্টানা সিআর৭ মারাকেশ-এ ছোট পরিসরের একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার হোটেলের একটি কক্ষে আগুন লাগে। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, অগ্নিকাণ্ডটি ছিল সামান্য এবং এতে কেউ আহত হয়নি। হোটেল থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। দ্রুত কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অতিথি ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার পর হোটেল স্বাভাবিকভাবেই চালু রয়েছে এবং নিয়মিতভাবে অতিথিদের সেবা প্রদান করছে বলে জানায় পেস্টানা হোটেল গ্রুপ।
#Maroc ???????? - Un début d’incendie s’est déclaré ce samedi 5 avril dans l’une des chambres de l’hôtel Pestana CR7 Marrakech.
২০১৯ সালে চালু হওয়া পেস্টানা সিআর৭ মারাকেশ হোটেলটি মারাকেশ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি আধুনিক ও বিলাসবহুল আবাসন সুবিধা। এটি পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং পেস্টানা হোটেল গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়। হোটেলটিতে রয়েছে প্রশস্ত রুম, ছাদে টেরেস, সুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টারসহ আধুনিক সব সুবিধা।
হোটেলটি জেমা-এল-ফনা স্কয়ার, কুতুবিয়া মসজিদ এবং ঐতিহাসিক মদিনার মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্রের কাছাকাছি হওয়ায় এটি জনপ্রিয়। এখানে দেশি-বিদেশি ভ্রমণকারীর পাশাপাশি ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীরাও নিয়মিত আসেন। উল্লেখ্য, রোনালদোর পেস্টানা সিআর৭ ব্র্যান্ডের হোটেল শুধু মারাকেশেই নয়, আরও রয়েছে লিসবন, মাদেইরা এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরেও।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।