মার্কিন সহায়তা বন্ধ লাখ লাখ মানুষের জন্য ‘মৃত্যুদণ্ড’: জাতিসংঘ
Published: 8th, April 2025 GMT
১৪টি দেশের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা লাখ লাখ ক্ষুধার্ত ও অনাহারী মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ইতিমধ্যেই চলতি বছরের জন্য ৪০ শতাংশ তহবিল হ্রাসের সঙ্গে লড়াই করছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন করে ১৪টি দেশের জন্য আমেরিকান সহায়তা বন্ধের বিষয়ে তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
চীনা পণ্যে আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সরাসরি পারমাণবিক আলোচনায় বসছে: ট্রাম্প
তবে কোন কোন দেশে এ সহায়তা বন্ধ করা হচ্ছে তা উল্লেখ করেনি সংস্থাটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ডব্লিউএফপি “যদি এটি বাস্তবায়িত হয়, তবে চরম ক্ষুধা ও অনাহারের মুখোমুখি লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি মৃত্যুদণ্ডের সামিল।”
ডব্লিউএফপিই জাতিসংঘের একমাত্র সংস্থা নয়, যা মার্কিন তহবিল হ্রাসের কারণে বিপাকে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি মার্কিন তহবিল বন্ধ করে দিয়েছেন।
যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য প্রচারের জন্য নিবেদিত একটি সংস্থা, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলকে (ইউএনপিএফ)- ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দুটি কর্মসূচি বন্ধ করছে। যার মধ্যে, একটি কর্মসূচি ছিল আফগানিস্তানের জন্য, অন্যটি সিরিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অন্যান্য দেশও তহবিল হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে, যার ফলে এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন প্রধান মার্কিন মানবিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর আগে এর বার্ষিক বাজেট ছিল ৪২.
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য তহব ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’