জনতা ব্যাংকের ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 8th, April 2025 GMT
জনতা ব্যাংকের ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক খাতের আলোচিত গ্রাহক এননটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জালাল উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১১৫ কোটি ৯১ লাখ ১০ হাজার ৫৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ব্যবসার পুঁজি না থাকা সত্ত্বেও কোনো যাচাই–বাছাই না করে জনতা ব্যাংক মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডকে ঋণ দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ব্যাংক কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে টাকা আত্মসাত করেছেন। মামলার বাকি চার আসামি হলেন মেসার্স সুপ্রভ মিলাঞ্জ স্পিনিং লিমিটেডের পরিচালক আবদুল্লাহ সিদ্দিক, জনতা ব্যাংকের সাবেক এসইও মোহাম্মদ শামীম হোসেন, সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবদুর রশীদ ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো.
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের সবচেয়ে বড় গ্রাহক এননটেক্স গ্রুপ। জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রুপটির নেওয়া প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি। এ জন্য ব্যাংকটি পড়েছে বিপদে। এ অবস্থায় এই ঋণের দায়–দায়িত্ব নির্ধারণে গ্রুপটির ঋণের ওপর পরিপূর্ণ নিরীক্ষা (ফাংশনাল অডিট) করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আড়াই বছরেও নিরীক্ষা শেষ করতে পারেনি জনতা ব্যাংক।
এখন গ্রুপটির ২২টি প্রতিষ্ঠানের কোনোটির মালিকানা ও শেয়ারের যেন পরিবর্তন না হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি ২২টি প্রতিষ্ঠানের ঋণে এননটেক্স গ্রুপের কর্ণধার ইউনুছ বাদলের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি নেওয়াসহ জনতা ব্যাংককে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিয়ে উড়োজাহাজে গ্রেপ্তার ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন চেয়ে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে ৪১ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার লন্ডনের লুটন বিমানবন্দর থেকে গ্লাসগোগামী একটি ফ্লাইটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি লন্ডনের কাছে বেডফোর্ডশায়ারের লুটন শহরের বাসিন্দা।
অভয় নায়েক ইজিজেট ফ্লাইটে হামলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার মতো আচরণ করেছেন। তিনি উড়োজাহাজে বোমা ফাটানোর হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি মাঝ আকাশে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে চিৎকার করেছিলেন, যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, অভয় নায়েক স্লোগান দিচ্ছেন, ‘আমেরিকার পতন হোক’, ‘ট্রাম্পের পতন হোক’। এরপরই তিনি ‘আল্লাহু আকবর’ (যার অর্থ ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’) বলে স্লোগান দেন। পরে দুজন ব্যক্তি তাঁকে কাবু করে উড়োজাহাজের মেঝেতে ফেলে দেন।
ওই ব্যক্তির নাম অভয় নায়েক। তিনি কোন ধর্মের অনুসারী, সে ব্যাপারে তাৎক্ষিণক কিছু জানা যায়নি।
ওই ব্যক্তির এমন আচরণের পর পাইলটরা বাধ্য হয়ে গ্লাসগোতে জরুরি অবতরণ করেন। সেখানেই স্কটিশ পুলিশ এসে অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করে।
স্কটল্যান্ডের পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গত রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে গ্লাসগোতে পৌঁছানো ইজিজেটের একটি ফ্লাইটে এক ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন এমন খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা মনে করি, ঘটনাটি এককভাবে ওই ব্যক্তির, অন্য কেউ জড়িত নন। যেসব ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়েছে, সেগুলো সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখছেন।’
উড়োজাহাজ অবতরণের পরই অভয় নায়েককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ ও যাত্রীদের নিরাপত্তাঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
ইজিজেট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বেপরোয়া আচরণের কারণে একজন যাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তদন্তে সহযোগিতা করছি।’
পাইসলি শেরিফ আদালতে হাজিরার সময় অভয় নায়েক কোনো বক্তব্য দেননি। তাঁকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে তাঁকে আবার আদালতে হাজির করা হবে।