বিখ্যাত ধারাবাহিক ‘গেম অব থ্রোন’-এ সাদা রঙের নেকড়ে দেখে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। কারণ, এ নেকড়ের অস্তিত্ব আর পৃথিবীতে নেই। তারা বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে। এর পর কেবল ফসিলই ছিল তাদের এককালের অস্তিত্বের সাক্ষী। কিন্তু বিজ্ঞানীদের বিস্ময়কর চেষ্টায় তারা আবার অবিশ্বাস্যভাবে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে; দৌড়াচ্ছে, হাঁটছে, খেলছে।

কথা হচ্ছিল বিলুপ্ত প্রাক-ঐতিহাসিক যুগের শ্বেত-নেকড়েদের নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসভিত্তিক বায়োটেক কোম্পানি কলোসাল বায়োসায়েন্সের দাবি, বিশ্বে প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত কোনো প্রাণীকে তারা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানীদের দাবি, শ্বেত-নেকড়ের প্রাচীন ডিএনএ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তারা ধূসর নেকড়ের জিন পরিবর্তন করতে ক্লোনিং ও জিন-সংস্কার প্রযুক্তিরও ব্যবহার করেন। এ  ধূসর নেকড়ে হারিয়ে যাওয়া শ্বেত-নেকড়ের সবচেয়ে কাছের প্রজাতী। ফলে একটি বিশেষ হাইব্রিড প্রজাতির নেকড়ের জন্ম হয়েছে, যা সেই বিলুপ্ত শ্বেত-নেকড়ের মতো। 

কলোসাল বায়োসায়েন্স জানায়, শ্বেত-নেকড়ে বা আইনোসিওন ডায়ারাসের আদি নিবাস ছিল উত্তর আমেরিকায়। এরা আকৃতিতে ধূসর-নেকড়ে থেকে বড়; মাথা খানিকটা মোটা ও চোয়াল শক্তিশালী। 

স্থানীয় সময় সোমবার কোম্পানিটি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয়। তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা বিলুপ্ত প্রাণীদের পুনরায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২১ সাল থেকে তারা বিলুপ্ত তাসমেনিয়ান টাইগার, দোদো, মেমোথের মতো প্রাণীদের ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

শ্বেত-নেকড়ের ফেরা প্রসঙ্গে কলোসালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বেন লাম বলেন, এ সাফল্য একটা বড় মাইলফলক। এতে প্রমাণ হয় যে, তাদের প্রযুক্তি কাজ করছে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা ১৩ হাজার বছর পুরানো (শ্বেত-নেকড়ের) দাঁত থেতে ডিএনএ সংগ্রহ করি। আমাদের সংগ্রহে এগুলোর ৭২ হাজার বছর আগের খুলি ছিল। এসব থেকে এ শ্বেত-নেকড়ে শাবকদের জন্ম।’ সূত্র: সিএনএন

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নর্ডিক স্কলারশিপে সম্পূর্ণ অর্থায়নে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির সুযোগ

উত্তর ইউরোপের দেশগুলোর আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণার সুযোগ নিয়ে এসেছে নর্ডিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬। এই প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে সুইডেনের নর্ডিক আফ্রিকা ইনস্টিটিউট (NAI)। সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিষয়ে যাঁরা আফ্রিকান স্টাডিজ বা সমসাময়িক আফ্রিকা নিয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি উন্মুক্ত।

এই বৃত্তির মাধ্যমে সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত মাস্টার্স, পিএইচডি ও পোস্টডক্টরাল গবেষকেরা এক মাসের জন্য নর্ডিক আফ্রিকা ইনস্টিটিউটে গবেষণার সুযোগ পাবেন। এই প্রোগ্রাম আবেদনকারীর নাগরিকত্বের ওপর নির্ভরশীল নয়। মূল লক্ষ্য হলো, আফ্রিকা–বিষয়ক গবেষণায় নর্ডিক অঞ্চলে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং নর্ডিক গবেষকদের মধ্যে সহযোগিতার নেটওয়ার্ক তৈরি করা।

নর্ডিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম ২০২৬–এর শেষ তারিখ আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ