লম্বা ছুটির পর কেন মন কাজে ফিরতে চায় না
Published: 9th, April 2025 GMT
কেন এমন হয়
সিগমুন্ড ফ্রয়েড, এরিক বার্নসহ বেশ কিছু মনোবিজ্ঞানীর মতে, আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বে একাধিক সত্তা বা ইগো স্টেট থাকে। যেমন আমাদের ভেতরে একাধারে রয়েছে অভিভাবক, পরিণত ও শিশুসত্তা। যখন আমরা দৈনন্দিন রুটিনে বা পেশাগত কাজে থাকি, তখন আমাদের ভেতরে পরিণত বা কর্মিসত্তাটি বেশি সক্রিয় থাকে। আমরা যুক্তি দিয়ে বিচার–বিশ্লেষণ করে চলি, কর্মঠ থাকি। কিন্তু যেই না ছুটি শুরু হয়, নিজের অজান্তেই আমাদের ভেতরের শিশুসত্তাটি ‘ইয়াহু’ বলে দৈনন্দিন রুটিনকেও ছুটি দিয়ে দেয়। যে ছুটির প্রতীক্ষায় সে দিন গুনছিল। ছুটি শেষ হলে আমাদের অন্তরের সেই শিশুটি নালিশ জানাতে থাকে। সে আরও ছুটি চায়, আরও স্বাধীনতা, আরও আনন্দ চায়। ঠিক যেমনটা শৈশবে হতো। কোনো খেলা থেকে আমাদের টেনে তোলা অভিভাবকদের জন্য ছিল বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। কিন্তু বড় হওয়ার পর আমাদের টেনে তোলার জন্য অন্য কেউ থাকে না। অগত্যা নিজেই নিজের অভিভাবক বনে গিয়ে নিজেকে ধাক্কাধাক্কি করে কাজে পাঠাতে হয়।
আরও পড়ুনছুটির পর আলস্য কাটিয়ে উঠবেন কীভাবে২৪ জুন ২০২৪কী করবপ্রকাশ করুন: আপনি কেমন অনুভব করছেন, তা নিজের ভেতরে আবদ্ধ না রেখে কাছের মানুষজনের কাছে মন খুলে বলুন। লিখতে পছন্দ করলে লিখেও নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন। নিজেকে প্রকাশ করলে আপনার শিশুসত্তা স্বস্তি পাবে।
কৃতজ্ঞ থাকুন: ছুটির ফ্রেমবন্দী স্মৃতিগুলো দেখুন এবং নিরাপদে সুন্দর একটা সময় পার করে এসেছেন বলে তৃপ্ত ও কৃতজ্ঞ থাকুন। স্বজনদের কথা মনে পড়লে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নিন। উৎসবের ছুটি শেষ মানেই কর্মজীবন থেকে ছুটি শেষ, তা কিন্তু নয়। সাপ্তাহিক ছুটি আনন্দে কাটানোর জন্য পরিকল্পনা করুন। কাজে উদ্দীপনা আনতে নিজেকে মনে করিয়ে দিন, আপনার কাজ কেন গুরুত্বপূর্ণ।
দেহঘড়ি মেরামত করুন: ছুটিতে ঘুম ও খাওয়াদাওয়ার রুটিন বদলে যায়। রাতে কম ঘুমিয়ে সকালে কাজে গেলে সহজেই ক্লান্তি আসে ও মেজাজ বিগড়ে যায়। ছুটি শেষে তাই নিয়ম ও সময় মেনে সুষম খাবার খাওয়া, রাতে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং সামান্য হলেও শরীরচর্চা করে দেহঘড়ি সচল রাখা প্রয়োজন।
আমাদের অনুভূতি ও আচরণ অনেকাংশেই আমাদের চিন্তাধারার ওপর নির্ভর করে। কাজে ফেরা মানেই কঠিন ও ক্লান্তির জীবন, এমন চিন্তাধারা আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে পারে। বরং কর্মদীপ্ত থাকা, কাজ ও বিশ্রামের ভারসাম্যের মধ্যেই প্রকৃত প্রশান্তি, এমন দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথচলাকে সহজ করে তোলে।
আরও পড়ুনঅফিসে যে ৬টি বিষয়ে সচেতন হলে আপনার মন খারাপ হবে না১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
তেল চোর দেলোয়ারকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবেন : টিপু
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আওয়ামীলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত খুন, গুম ও নির্যাতন এটা ছিল ওই শেখ হাসিনার নিত্যদিনের খোরাক। বাংলাদেশের মানুষকে বন্দুকের নল দেখিয়ে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিল।
আয়না ঘর বানিয়ে মানুষকে গুম করে তার ক্ষমতার মাস্কটে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। যেমনি ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল খুনি শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমান ৭৫ এর আগে গণতন্ত্রকে হত্যা করে চেয়েছিল একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেদিন রুখে দিয়েছিল।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের আলতাফ কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে সে সকল সম্পদ সকল টাকা-পয়সা ওই আওয়ামী লীগের সকল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাদের মন্ত্রী-এমপি তাদের নেতাকর্মীরাসহ তারা লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। এখন বিদেশে বসে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
কিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে অশান্তিতে রাখবে, কিভাবে বিএনপিকে ধ্বংস করা যায়। কিন্তু আমরা বিএনপি নেতা কর্মীরা বলে দিতে চাই ওই শেখ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাসহ যারা এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে কখনোই আর বাংলাদেশের মাটিতে জায়গা দেওয়া অবদান।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গডফাদার ছিল খুনি শেখ হাসিনা, তেমনি ভাবে আমাদের নারায়ণগঞ্জেও গডফাদার ছিল ওসমান পরিবার শামীম ওসমান সহ তাদের পুরো পরিবার, তেমনি ভাবে কলাগাছিয়াও কিন্তু একজন চোর ছিল। তার কি নাম ছিল তেল চোর দেলোয়ার। ওই কিন্তু একজন বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হত্যার মামলার আসামি।
ওকি এখনো এলাকায় আছে যদি থাকে তা হলে আপনারা ধরে ওকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে দিবেন। কোন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হত্যা মামলার আসামি দোসরদের সহযোগী তারা। এই নারায়ণগঞ্জের মাটিতে যাতে চলাফেরা থাকতে না পারে সেজন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব রুখে দিবেন।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী নুরউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হুমায়ূন কবির, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন শিশির, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এড. মতিউর রহমান মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেজ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবির, সহ- সভাপতি দিদার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দ্বীন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব খন্দকার, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহেল প্রধানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।